পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ কখনো সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আইনে এটা সম্ভব না। তারেক রহমানকে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ আইনে লেখা আছে পৃথিবীর কোনো শক্তি বা জাতিসংঘ রেজুলেশন করলেও ব্রিটিশ সরকার এই ব্যক্তিকে কখনো তার দেশে পাঠাবে না যতক্ষণ না ওই ব্যক্তি নিজে বলেন এখন আমি আমার দেশে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়েছে। তারেক রহমানকে আপনি ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। তিনি ফিরে আসবেন বাংলাদেশে বীরের বেশে যখন বাংলাদেশের জনগণ চাইবে। শেখ হাসিনা চাওয়া না চাওয়ার ওপর এর কোনো সম্পর্ক নাই।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সংগঠনটির সদ্য মরহুম নেতা আবুল কাশেম চৌধুরীর স্মরণে এই সভা হয়। লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের ওপর উনার অনেক জেদ। তিনি বললেন, তাকে যেকোনো ম‚ল্যে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমি বলতে চাই, আপনি যত ম‚ল্য, যত ধমক দেন, যত কিছু করেন না কোনো ব্রিটিশ আইনে এটা সম্ভব না।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে এবং তার নাগরিকত্ব থাকবে। ব্রিটিশ আইনের নিয়ম হলো যখন কেউ পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম চায় তখন তাকে পাসপোর্টটি জমা দিতে হয় সেখানকার হোম মিনিস্ট্রিতে। এটার অর্থ নাগরিকত্ব ছেড়ে দেয়া নয়। পৃথিবীতে কোনো ব্যক্তি নাগরিকত্ব ছাড়া থাকতে পারে না। এখানে শুধু তারেক রহমানের প্রতি রাগে ক্ষোভে এরকম বানোয়াট চিঠি দিয়ে সরকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। এটাতে তাদের ব্যুমেরাং হয়েছে।
বর্তমান সময়কে অন্ধকার যুগের সাথে তুলনা করে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন একটা অন্ধকার যুগ চলছে। আামি বলি এটা আওয়ামী জাহেলাতির যুগ। এ থেকে রক্ষা করতে হলে তাহলে এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে। মুক্ত করার একটাই পথ একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন করা। এজন্য নির্বাচনকালীন সরকার প্রয়োজন হবে, সংসদ ভেঙে সেনা মোতায়েনে নির্বাচন হতে হবে। এজন্য অবিলম্বে কারাবন্দি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রথম শর্ত। দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না। যেহেতু বেগম জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও একাদশ সংসদ নির্বাচন একস‚ত্রে গাঁথা। আমাদের তাই আন্দোলন প্রথম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।