পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে সা¤প্রতিক নাটকীয় ঘটনাটি পুরনো একটি চীনা প্রবাদ দিয়ে সর্বোত্তমভাবে প্রকাশ করা যায়: লড়াইয়ের পর প্রায়ই বন্ধুত্ব পাতানো যায়। গত বছরের দোকলাম অচলাবস্থার সময় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল। এখন এশিয়ার দুই জায়ান্ট সব পর্যায়ে অবাক করা কূটনৈতিক বিনিময় করছে। এসব প্রয়াস কেবল তাদের সম্পর্কই মেরামত করছে না, তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে শিয়ামেনে ৯ম ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ সম্মেলনের পর চীন ও ভারত নজিরবিহীনভাবে বারবার কূটনীতি বিনিময় করছে। ১১ ডিসেম্বর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফর করেছিলেন। এর অল্প পর স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি ভারত সফর করেন।
আর গত জানুয়ারিতে বিজয় গোখলেকে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব করা হয়। দোকলাম সঙ্কটের সময় তিনি বেইজিংয়ে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সঙ্কটটি সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এখন পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে চীন-ভারত সম্পর্ক নির্ধারণে মোদি সরকারের সাথে কাজ করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তিনিও চীন সফর করেছেন। তার সফরেই কূটনৈতিক বিনিময়ের নতুন পর্যায় শুরু হয়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ১৩ এপ্রিল সাংহাই গিয়ে ইয়াং ই’র সাথে সাক্ষাত করেন। ২১ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ চীন পৌঁছেন। তিনি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে চীন যান। প্রায় একইসময়ে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারামন মঙ্গলবার যান চীনে।
এসব ঘটনার রেশ ধরে আগামীকাল থেকে শুরু সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এখানেই শেষ নয়, আগামী জুনে কিঙদাওয়ে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে দুই নেতা আবার বসতে যাচ্ছেন।
চীন-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এ ধরনের ঘন ঘন উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাত খুবই কমই ঘটেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নতুন পর্যায়ে উপনীত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
দুই দেশের অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রæত প্রবৃদ্ধিকারী এ দুই অর্থনীতির আবার প্রাচীনতম সভ্যতারও ধারক। বিশ্বে মাত্র এ দুই দেশই ১০০ কোটির বেশি লোক বাস করে। ফলে বিশ্ব পর্যায়ে আলাদাভাবে ও ঐক্যবদ্ধভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এ দুই দেশ।
অবশ্য নতুন যে আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে, তা আরো সুনির্দিষ্টভাবে কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে। অবশ্য দুই দেশই গত কয়েক বছরের নানা ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। তারপরও বলা যায়, চীন-ভারত সম্পর্ক সত্যিই এযাবৎকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়ে থাকলে তা হওয়ার কারণ হলো তারা এখন সম্ভাব্য সঙ্ঘাত ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে এনে সহযোগিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত করার কৌশল রপ্ত করতে পেরেছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।