পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া ব্যুরো : ‘করতোয়া, বাঙ্গালী ও নাগর নদী রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক গণশুনানী বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী পর্যটন মোটেলে এই গণশুনানী অনুষ্টিত হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যৌথ আয়োজনে এবং পানি অধিকার ফোরাম (ডাবিøউআরএফ)’র সহযোগিতায় অনুষ্টিত গণশুনানীতে সভাপতিত্ব করেন বাপার’র বগুড়া শাখার সভাপতি আনোয়ারুল করিম দুলাল। বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঞ্চালনায় মুল প্রবন্ধ ভাগ করে উপস্থাপন করেন তন্ময় সান্যাল, ইসমাইর সিরাজী ও জিয়াউর রহমান। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদরের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ নুরুর ইসলাম ওমর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলীমুন রাজীব, মেয়র মাহবুবুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসগর হেনা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা: মকবুল হোসেন , বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুর হুদা প্রমুখ। গণশুনাণীতে বিভিন্ন পেশার শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করে। গণশুনাণীতে বলা হয় নদী বাংলাদেশের প্রাণ। এই নদীগুলোকে দূষণ দখল থেকে মুক্ত করে নাব্য ফিরে আনার করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।
এর আগে গত সোমবার গুড়ায় ‘বিপন্ন নদ-নদী জলাশয় সুরক্ষা এবং জনমানুষের জীবিকা : আমাদের করণীয় : প্রেক্ষিত করতোয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভা বগুড়া পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে বগুড়া আইন কলেজ’র প্রিন্সিপাল অ্যাড. আল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাড. এ কে এম মাহবুবর রহমান। পেভ’র সম্পাদক কে জী এম ফারুকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে সভায় অংশগ্রহণ করেন, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের জেলা আহবায়ক মাছুদার রহমান হেলাল ,জেলা অওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হেফাজত আরা মিরা, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার’র কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, দৈনিক সমকাল’র ব্যুরো প্রধান মোহন আখন্দ, বাপা’র জেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, পিইউপি’র প্রধান সমন্বয়কারি শেখ আবু হাসানাত সহিদ, বøাস্ট’র সমন্বয়ক এড. আশরাফুন্নাহ্রা স্বপ্না,সাবেক পৌর কাউন্সিলর স্বপ্না চৌধুরি প্রমুখ।
পেভ’র সমন্বয়কারী জি এম পারভেজ ড্যারিন’র উপস্থাপিত আলোচনা পত্রে বলা হয়, করতোয়া এদেশের এক প্রাচীনতম নদী। হাজার বছরের প্রাচীন গ্রন্থ মহাভারতে করতোয়া নদীর কথা রয়েছে। ১৭৬৪-১৭৭৭ খ্রীস্টাব্দে ব্রিটিশ আমলে রেনেলস জরিপের মাধ্যমে প্রাচীন বাংলার যে মানচিত্র তৈরি করেন তাতেও করতোয়ার উল্লেখ রয়েছে বড় নদী রূপে। অতীতে করতোয়া নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিলো এক প্রসিদ্ধ নগর ও তার রাজধানী পুন্ড্রবর্ধন। করতোয়া নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলার বৈকুন্ঠপুরের অরণ্য গর্ভ থেকে। করতোয়া নদীর মূল উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বত। এই নদী পথেই সেইসময় বহু পর্যটক এবং কামাক্ষীয় রাজবংশের লোকজন নিয়মিত বগুড়ায় তথা পুন্ড্রনগরে যাওয়া আসা করতেন। মহাস্থান নামক স্থানে সেই প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ সেই সভ্যতার ইতিহাস ধারণ করে আছে। সভায় আলোচকগণ বলেন, স্বাধীনতা পূর্বকালেও করতোয়া ছিল প্রবল খর¯্রােতা, সমগ্র দেশব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যম ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর। কিন্তু উজানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপ জেলার খুলশি এলাকায় পাউবো’র পক্ষ থেকে পরিবেশ বিরোধি ¯øুইস গেট নির্মাণ করে নদীটির গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। এই নদীর দু’পাশ অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে পরিণত হয়েছে একটি পুঁতি গন্ধময় নর্দমায়। নদীতে নোংরা পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ঐতিহাসিক নদী নামের নর্দমাটি প্রতিনিয়ত দূষিত করছে পরিবেশ। জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ২০১০ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের যৌথ ইশতেহারে করতোয়াসহ ৭টি নদী রক্ষার ব্যাপারে একমত পোষণ করা হয়েছে। যা আজো বাস্তবায়িত হয় নি। সভায় অংশগ্রহণকারীগণ করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত পরিবেশ বিরোধি ¯øুইসগেট অপসারণ, অবৈধ দখলমুক্ত ও সংস্কারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। পিইউপি ও পেভ’র উদ্যোগে ও এএলআরডি’র সহযোগিতায় আয়োজিত আলোচনাসভায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।