Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজাদ-তাবিদ ও বাচ্চুকে দুদকে তলব

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর অবৈধ সম্পদ খুঁজতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগও অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে। ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৭ মে তাঁকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে তলবি নোটিশ পাঠিয়েছেন সংস্থার উপপরিচালক সামছুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার ওই চিঠি পাঠানো হয়। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের তত্ত¡াবধানে তিনি অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান করছেন।
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অধিকাংশ প্রতিবেদনে আবদুল হাইয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। খোদ অর্থমন্ত্রী বেসিক ব্যাংকে লুটের পেছনে আবদুল হাই জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন। জাতীয় সংসদেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতেও এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কমিটির সদস্যরা।
অথচ ওই ঘটনায় দায়ের করা ৬১ মামলার কোনোটিতেই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। অনুসন্ধানকালে তাঁকে কখনো দুদকে ডাকাই হয়নি। আদালতে একটি আদেশের পর গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তাঁকে তলব করে দুদক। এ পর্যন্ত চারবার দুদক কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত বছরের ৬ ও ৮ ডিসেম্বর, এ বছরের ৮ জানুয়ারি ও ৮ মার্চ দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করেন বাচ্চুকে।
আজাদ ও তাবিথ দুদকে তলব: এছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে হা-মীম গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক তলবি নোটিশ পাঠানো হয়।
অপর নোটিশে তাবিথ আউয়ালকে ৮ মে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ এবং ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ব্যবসায়ী এ কে আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ৯ মে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এর আগে এ কে আজাদকে একবার তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণে সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ