পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত কারো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমারা একটি রাজনৈতিক দল। আমাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ। ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে প্রতিবেশি ভারতের ইন্টারফেয়ারের কিছু নেই। আমরা আশাও করি না। এসব ব্যাপার আমারাই ঠিক করব।
মঙ্গলবার বিকেলে তিন দিনের সফর শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে তা আশা করি না। আর ভারত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। এবারও করবে না। তাদের অনেক নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে আমরা যে কারও সঙ্গে সম্পর্ক করতে পারি। আমাদেরকে বিজেপি আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা কি সেখানে খেতে গেছি নাকি? ওখানে কি আমরা বেড়াতে গেছি? আনন্দ উল্লাস করতে গেছি? আমার তাদের সঙ্গে সিরিয়াসলি আলাপ আলোচনা করেছি। আমার এসব কিছু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের রুলিং পার্টির আমন্ত্রণে আমরা ভারতে গেছি। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়েছে। আমার সব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। সেগুলোর মধ্যে সীমান্ত চুক্তির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছেন তারা। এ দুই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করি তিস্তা চুক্তিও হবে। আমাদের পানির জন্য যে হাহাকার তা উপস্থাপন করেছি। এ চুক্তি হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর সময় যদি তিস্তা চুক্তি হয় সেটা দুই দেশে জন্য ট্রিমেন্ডাস গুড উইল তৈরি হবে।
কাদের বলেন, আমার দুই একদিনের মধ্যেই একটি সংবাদ সম্মেলন করব। কারণ তথ্য যদি না দেই তাহলে এটা শুভ নয়। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমার কিছু গোপন করতে চাই না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব কিছু প্রকাশ করব। যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পারে।
এর আগে প্রতিনিধি দলটি বিমানবন্দরে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ফুল দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য আমিরুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।