পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও একসদস্য আহত হওয়ার ঘটনার প্রধান আসামি বাবু ওরফে ইয়াবা বাবুকে ৪দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবু। গত বৃহস্পতিবার রাতে গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধের গলিতে শেলটেক অ্যাপার্টমেন্টরে পেছনে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায় বাবু। ওই ঘটনায় পুলিশের দু’জন এএসআই ও একজন কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয় বাবুর সহযোগি ইয়াবা ব্যবসায়ী সোনিয়া ও জুয়েলকে। তাদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দিয়েছে পুলিশ। গেন্ডারিয়া থানার ওসি গাজী মিজানুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী সোনিয়াকে ২দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আহত মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ হলে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী বাবুকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এএসআই মোশারফ হোসেন, এএসআই মোহসিন ও কনস্টেবল বশির আহমেদকে বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গেন্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, মামলা দুইটিতে সোনিয়া, জুয়েল, বাবু ও সোনিয়ার স্বামী জনিসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুলি করে পালিয়ে যাওয়া বাবু ছিলেন সোনিয়ার বন্ধু। ঘটনার দিন বাবু আরেকটি কক্ষ থেকে বের হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ওই সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া স্বীকার করেছে তার স্বামী জনি ইয়াবা ব্যবসা করে। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে তারা ঢাকায় খুচরা বিক্রি করে। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করেন বাবু। এদিকে বাবুর ব্যবহৃত অস্ত্রটির সন্ধান এখনো করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, বাবু গেন্ডারিয়া এলাকার অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় তারা সংঘবব্ধভাবে ইয়াবা ব্যবসা করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।