পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ষড়যন্ত্র আবার দানা বেঁধে উঠছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শিক্ষকরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই কাজে ক্ষমতাসীন দলের দলীয় কমল মতি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদেরলেখা-পড়ার পরিবেশ ফের বিনষ্ট হচ্ছে । পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা দুর্নীতি নতুন নয়। রিজার্ভ ফান্ড শূণ্য করা । শিক্ষার্থী ভর্তির সময় দুর্নীতি এই সব প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘুরপাক খায়। কয়েক দফা তদন্ত হলেও কোন তদন্তই আলোর মুখ দেখে না। বর্তমানে নবাগত ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী দুর্নীতির শিকড় অনুসন্ধানে হিমশিম খাচ্ছেন । অপরদিকে , বিদেশে থেকে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম কুমার চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে তাকে বিগত ১৭ এপ্রিল সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়ায় হয়। শুরু হয় নতুন করে জটিলতা । তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়া হয় । এ ব্যাপারে তিনি গত শুক্রবার থানায় একটি জিডি করেন।পরদিন শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং বিচার দাবি করেন। এই মানববন্ধন ও সামবেশে সহকারী প্রক্টর ও পদার্থ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার চৌধুরীকে প্রাণনাশের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয়, সাধারণ সম্পাদক কিসলু নোমান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ডন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জামসেদ পলাশ, সেকশন অফিসার জহুরুল ইসলাম প্রিন্স ও ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ। বক্তারা সহকারী প্রক্টর উত্তম কুমার চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকির তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধন থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের দাবী জানানো হয়। প্রায় ৪ বছর সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় পাল্টা আর একটি জিডি করেন। এরপর সামাজিক অনুষদের প্রধান ড. এম. আব্দুল আলীম আরও একটি জিডি করেন। তিনটি জিডিতে ত্রিশংকু অবস্থার উদ্ভব হয়েছে। সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবীর জয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। শিবিরের সাথে সংঘাত-সংঘর্ষ করে ছাত্রলীগের ছাত্রদের অবস্থান দৃঢ় করেন। পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়লে তিনি অনার্স সম্পন্ন কওে ঢাকায় চলে যান এবং পওে মাষ্টার্স ডিগ্রী নেন। তিনি সরাসরি রাজনীতিক। চার বছরকাল পাবিপ্রবির প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে অনেক বড় বড় ক্রাইসিস তিনি মোকাবেলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ ছাত্র, কর্মকর্তাদের শান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন বটে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন দুই একজন শিক্ষক আছেন, তাদের ভাব হলো এই রকম অনেক বড় মাপের আওয়ামীলীগ নেতা। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে ,ঐ সব শিক্ষক নিজে এবং তার পরিবারের মধ্যে আওয়ামীলীগ করতেন এমন কারো নাম-নিশানা নেই। এই সব শিক্ষকদের ভাব-সাব দেখে মনে হয়, তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামীলীগ নেতা। এরাই জটিলতার জন্য পেছন থেকে কল-কাঠি নাড়ে,তাদের নানাবিধ অপকর্ম ঢাকার জন্য। নব নিযুক্ত সহকারী প্রক্টর উত্তম কুমার অরাজনৈতিক ব্যক্তি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা প্রক্টও হিসেবে আওয়াল কবীর জয়কে সমর্থন করেন। ত্রিশংকু অবস্থায় উত্তম কুমারচৌধুরী কতক্ষণ টিকে থাকতে পারেন এবংমেধাবী ও সৎজন হিসেবে বিবেচিত নবাগত উপাচার্য এই অবস্থার উত্তরণ এবং সমাধান কিভাবে করবেন সেটাই দেখার বিষয়। সূত্র মতে, খুব শিঘ্রই উদ্ভূত পারিস্থতি নিয়ে তিনি রিজেন্ট বোর্ডেও সভা আহŸান করবেন বলে জানা গেছে। তার আগে আজ(সোমবার) পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা আহŸান করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।