বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার পরই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, যেখানে গণতন্ত্রের মাতাকে জেলে রাখা হয়েছে, সেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা থাকতে পারে না। বেগম খালেদা জিয়া যেদিন মুক্তি পাবেন, সেদিন দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পরই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবে বিএনপি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ছাত্রদল সভাপতি রাজিব হাসান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনের মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি কোনো প্রকার নির্বাচনের আলোচনায় যাবে না। তার মুক্তির সংগ্রাম বিএনপির একমাত্র সংগ্রাম। শুধু আইনের প্রতি সম্মান দেখাতেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফেরানোর আলোচনা চলছে বলে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে আমীর খসরু বলেন, কারো কথায় লন্ডন থেকে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দেশে যেদিন গণতন্ত্র ফিরে আসবে তারেক রহমানও সেদিন বীরদর্পে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। গণতন্ত্র ফিরিয়েই দেশে ফিরবেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) মত মানুষ এসব ভুয়া কথা বলছেন। কিন্তু, ভুয়া কথা বলে কোনো লাভ হবে না। যুক্তরাজ্য একটি সভ্য দেশ। সেখানে গণতন্ত্র আছে। দুর্নীতি নেই। দেশটির নাগরিক, বিরোধী দল, সরকার সবাই জানে বাংলাদেশে বর্তমানে কি চলছে? তারা নির্যাতিত, নিপীড়িতদের স্থান দেয়। তাদের মনে তারেক রহমান জায়গা করে নিয়েছেন। শেখ হাসিনার কথাই তারা সেটি পরিবর্তন করবে না। সুতরাং আলোচনা চলছে, এ রকম ধোঁকাবাজি মার্কা কথা বলে লাভ হবে না। সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার নীলনকশার নির্বাচন জনগণ আর মেনে নেবে না। জনগণের বাঁধভাঙা জলোচ্ছ¡াস পর্যায়ক্রমে বাড়তেই থাকবে।
আয়োজক সংগঠনের আহŸায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শ্যামা ওবায়েদ ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ। #######