Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রমজানে ভেজাল রুখবে কে?

কুমিল্লায় ভেজাল পণ্যের মান পরীক্ষার সুযোগ নেই

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা থেকে : রমজানকে সামনে রেখে ভেজাল চক্রের দৌরাত্ম্য শুরু হলেও প্রতিরোধে বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও জেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে ধীর গতিতে। ভেজাল হিসেবে সন্দেহ হলেও পানিসহ (ড্রিংকিং ওয়াটার) নিত্য প্রয়োজনীয় ৯৮টি পণ্যের মান পরীক্ষার সুযোগ নেই। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে যে ৫৬ টি পণ্যের মান পরীক্ষা করার সুযোগ থাকলেও জনবল কম ও লোডশেডিংয়ের কারনে সেগুলোর রিপোর্ট পেতে সময় লাগে অত্যন্ত ১৫ দিন। ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসতে লাগে এক মাস পর্যন্ত। এসব সীমাবদ্ধতা ও আইনি জটিলতায় ভেজাল চক্র এবারো নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিএসটিআই সংশ্লিষ্টরা। তবে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রমজানের আগে খাদ্যপণ্য ভেজালের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আর জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মাত্র ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। তবে ভেজাল, দূষণ, পরিবেশসহ সব ধরনের অপরাধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালিত হয়ে আসচ্ছে বলে জেলা প্রসাশন দাবী করছে। 

বিএসটিআই কুমিল্লার সহকারী পরিচালক শাহিনুর ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাজারজাতের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১৫৪পণ্যের মান পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কুমিল্লায় পরীক্ষার মান যাচাইয়ের ব্যবস্থাপনা না থাকলেও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে পরীক্ষা করা যায় ৫৬ টি পণ্য। বাকিগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠাতে হয়। তিনি বলেন, বিএসটিআই ভেজালবিরোধী অভিযানের জন্য কুমিল্লায় জনবলের সঙ্কট থাকায় অভিযান পরিচালনা দ্রæত গতিতে করা যাচ্ছে না। তবে রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকে কুমিল্লায় ভেজাল বিরোধী অভিযান ঘন ঘন পরিচালনা করবেন বলে আশ্বাসত্ত দেন ত্তই কর্মকর্তা।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, সাধারণত শবেবরাতের পর রমজানকে সামনে রেখে বিএসটিআইয়ের ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু হয়। তবে বিএসটিআই অভিযানে প্রাথমিকভাবে ভেজাল প্রমাণ হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের বিপণনকৃত পণ্য তাৎক্ষণিকভাবে জব্ধ করার ক্ষমতা নেই মান নিয়ন্ত্রণকারী এই সংস্থার হাতে। ঢাকা থেকে ল্যাবরেটরি রিপোর্ট পেলে তবেই পণ্য জব্ধ করা যায়। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠানো হলে রিপোর্ট পেতে অনেক সময় ১০ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগে। ভেজাল সন্দেহে জব্ধকৃত ঘিয়ের নমুনা চট্টগ্রামে পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও লোডশেডিং ও জনবল সঙ্কটে এই রিপোর্টও ১০ দিনের আগে পাওয়া যায় না। এই অবস্থায় বিএসটিআইকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানা যায়, বিএসটিআই কুমিল্লা জেলায় ১৬টি উপজেলা থাকলেও অভিযান পরিচালনার মতো লোক আছে মাত্র ৩ জন। যদিও বা অভিযানের জন্য অনুমোদিত জনবল ১১ জন ইন্সপেক্টর ও ১১ জন ফিল্ড অফিসার মিলিয়ে মোট ২২ জন। সীমিত জনবলের কারণে কখনোই তাদের পক্ষে একটির বেশি অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ