Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষকের স্বার্থে চাল নয় ধান ক্রয় করতে হবে

যশোরে জাতীয় কৃষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর ব্যুরো : সরকারের ধান ও চাল ক্রয় নীতি পরিবর্তন করে কৃষকের স্বার্থে চাল নয় ধান ক্রয় করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে সিন্ডিকেট ও দলীয় ক্যাডারদের দাপট। একইসাথে খেতমুজুর, দিনমুজুর, গরীব কৃষক, শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ও কৃষকের জন্য শস্যবীমা চালু করতে হবে। গতকাল যশোরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় কৃষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এই দাবী তুলেছেন। তারা বলেছেন, সরকারেরর সংগ্রহ অভিযানে কৃষকের নয়, চালের মালিক চাতালের মালিক ও পুঁজির মালিক আড়তদার তথা পুঁজিপতিদের সেবা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার ঘোষণা দিয়েছে এবার বোরো মৌসুমে ৯ লাখ টন চাল ও মাত্র দেড় লাখ টন ধান কেনা হবে। চাল তো আর কৃষক দিতে পারবেন না। ধান দেড় লাখ টন কী ভাবে কেনা হবে তার ব্যাখ্যা নেই। অতীতের মতোই সরকারদলীয় প্রভাবশালীরা ¯িøপ পেয়ে গোডাউনে বিক্রি করবেন। কৃষক অতীতেও সরাসরি সরকারের কাছ থেকে ধানবিক্রির ঐ ¯িøপ হাতে পাননি; এবারও তার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে এটি শুভঙ্করের ফাঁকি। বোরো ধানের পাক ধরেছে। দেড়-দুই সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে এবং শুরু হবে গরিব কৃষকের সস্তায় আগাম ধান বিক্রি ও দেনা শোধের পালা। দরিদ্র কৃষক, বর্গাচাষী, লিজি ও চুক্তিকৃষকেরা লাভজনক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য কিছু দিনের জন্য ঘরে ধান আটকে রাখতে পারেন না। তাদের অধিকাংশ জনই ধারেবাকিতে সার, কীটনাশক, ডিজেল কিনে দোকানে দোকানে বাধা পড়ে আছেন। ইতোমধ্যে তাদের নামে মহাজন-দোকানিদের হালখাতার নোটিশও আসতে শুরু করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিল্প-পণ্যের মতো নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের দাম নির্ধারণ করার অধিকার ও সুযোগ কৃষকের নেই। কৃষিপণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়ার মালিক অকৃষক আড়তদার, মহাজন ও পুঁজিপতি শ্রেণী। আবার সরকারও। তারা কৃষকের ফসলের দাম বেধে দেওয়ার কাজটি করে নিতান্ত রুটিন মাফিক ও দায়সারাগোছের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাকা ধানে কেবল পোচ লেগেছে। আর মাত্র দেড়-দু‘ সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে এবং শুরু হবে দরিদ্র কৃষক, বর্গাচাষী, লিজি কৃষকের সস্তায় আগাম ধান বিক্রি ও দেনা শোধের পালা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এডঃ আবুবকর সিদ্দিক, মিজানুর রহমান, ইকবাল কবীর জাহিদ ও অনিল বিশ্বাসসহ নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ