পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তার মাসিক আয় ১৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। এই সামান্য টাকায় মঞ্জু মাস চলে কীভাবে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। গতকাল দুপুরে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন তারা। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দেড় কোটি টাকার গাড়িটি চলে কি বাতাসে? আর ড্রাইভারও কি হাওয়া খেয়ে গাড়ি চালান? মঞ্জু যে আলিশান বাড়িতে বসবাস করে তার মাসিক ভাড়া কম করে হলেও ২০ হাজার টাকা। তাহলে কি তিনি বাড়িওয়ালাকে জিম্মি করে অথবা বিনা ভাড়ায় বসবাস করেন?
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ৭৭ সাল থেকেই আমি নির্বাচন করছি। সব নির্বাচনেই আমি হলফনামা দিয়েছি। কোনো সময় কোনো তথ্য গোপন করে হলফনামা জমা দেইনি। আমি ও আমার স্ত্রী একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। লাভজনক যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে আমি জড়িত রয়েছি, সব কিছুর হিসাব দাখিল করেছি। এখানে চতুরতার কোনো বিষয় নেই।
তিনি বলেন, আমি হলফনামায় সাউথ-বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিষয়ে উল্লেখ করেছি। আমার এলাকায় লখপুর গ্রæপের প্রতিষ্ঠান থাকায় সুপারিশ করে এলাকাবাসীর চাকরির ব্যবস্থা করেছি। লখপুর গ্রæপের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন বলেন, এই বাজারে পাজেরো গাড়ি চালিয়ে, আলিশান বাড়িতে থেকে, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে ১৫/১৬ হাজার টাকায় চলা যায় না তা সবাই জানেন। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো যে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অবৈধ ব্যবসা আছে? অথবা তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র থাকা অবস্থায় যে ৭শ’ কোটি টাকা রেখে এসেছিলেন তা বর্তমান মেয়র মনি ও মঞ্জু ভাগবাটোয়ারা করে খেয়েছেন? তিনি বলেন, অপপ্রচার বন্ধ রাখুন, না হলে আপনার হাড়ির খবর বের করে আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মেয়র প্রার্থী ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, নগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি।
এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ।
তালুকদার আব্দুল খালেক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, লিমিটেড কোম্পানির পরিচালক ও বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও তা উল্লেখ করেননি বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লিখিত অভিযোগে তালুকদার আব্দুল খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিলপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে কেসিসি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ গ্রহণ করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও কেসিসি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তালুকদার আব্দুল খালেক সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনির্ভাসিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের পরিচালক ও সর্বময় নিয়ন্ত্রণকারী। এখান থেকে তিনি নিয়মিত বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেন। অথচ নির্বাচনী হলফনামায় এসব তথ্য গোপন করেছেন। এমনকি, ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের নেয়া ঋণের তথ্যও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। দলীয় নমিনেশনপত্রে তার ভোটার নম্বরও উল্লেখ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।