পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719372649](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নত বিশ্বে ৬০-৮০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি ট্রেডে পড়াশুনা করে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশেও এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর পরিবহন পুল ভবনে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হবে। শিক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার কিন্তু কারিগরি শিক্ষা হলো অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। আমাদের বিপুল পরিমান তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে যারা তরুণ, চিরকাল তারা তরুণ থাকবে না। এখনই তাদের দক্ষতা দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা দেয়া সম্ভব। এরা দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে ভিশন ২০২১ অর্জন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত করার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। এজন্য ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল পুনর্গঠন করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ১৪ শতাংশ ভর্তি হার নিশ্চিত করেছি। সরকার এই হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতি উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যে সকল জেলায় বর্তমানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নেই, সেই ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। এবং বিভাগীয় শহরে আরো ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এই সকল উদ্যোগ দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। দক্ষ জনশক্তিই পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে। এসময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।