Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে না শেখ হাসিনা -গয়েশ্বর

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা জীবিত মুক্তি দিবেন না বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আন্দোলন না করলে জেলগেটে তার (খালেদা জিয়া) লাশ ফেরত নিতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন কম কথা বলার। কিন্তু কি করব, না বললে তো মনে কথা জমা হয়ে যায়। সে কারণেই বলছি- শেখ হাসিনার অধীনে যদি আগামী নির্বাচনে যাই, তাহলে ২০১৪ সালে কেন গেলাম না? বিগত বছরে যে এত নির্যাতন হলো, নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে এখান কি জবাব দিবেন?’ নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে এতো নির্যাতন হয়েছে। আমরা সবসময় নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছি, এদেশের মানুষও তাই চায়। এই দাবি আদায়ের পর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা। এজন্য কেউ কেউ আমাকে বলেছেনও চুপচাপ থাইকেন।
খালেদা জিয়া ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা যদি এই সরকারের পতন ঘটাতে না পারি তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না, শেখ হাসিনাও আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিবে না। জেলগেটে লাশ ফেরত দেবে, জীবিত মুক্তি দিবে না। আমাদেরকে নেত্রীর লাশের জন্য জেলগেটে অপেক্ষা করতে হবে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে যারা জেলে পাঠিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে এদেশে গণতন্ত্রের কোনো ভবিষ্যৎ নাই।
তিনি বলেন, বিএনপির অনেকেই যুক্তি দেখায় আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো, নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে। নির্বাচনে অংশ নিতে চান আন্দোলনের কৌশল হিসেবে। এ-ও কথা আছে সরকার নাকি ৩০-৯০টি আসন বিএনপিকে দিতে চায়। আমি জানতে চাই, আসনের মালিক কি শেখ হাসিনা? যদি তাই হয় তাহলে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করছি কেনো? আন্তর্জাতিক মহল বিরোধী দল বলতে এখনো বিএনপিকে চেনে। আমাদের কৌশল এখন একটাই হওয়া উচিত তা হলো, জনগণের রাস্তায় নামা। এর ফলাফল অবশ্যই দৃশ্যমান হবে।
দলীয় ঐক্যের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য হতে হবে। সেই ঐক্য যেন মান্নান ভুঁইয়ার মত না হয়। খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানকে বের করে দিয়ে নয়। আমরা আগামী দিনে নির্বাচনে যাব কি যাব না এটা নিয়ে শর্ত হতে পারে। কিন্তু একটা শর্ত হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাব না। খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে যাবো নাকি, তাকে ছাড়া যাবো সেই নির্দেশনা তিনিই দিবেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যদি জনগণকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দিতে পারি, তাহলে বিএনপি যে আসনে দাঁড়াবে প্রত্যেক আসনেই জয়লাভ করবে।
ইলিয়াস মুক্তি যুব সংগ্রাম পরিষদ ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিম, শাম্মী আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, ছাত্রদলের রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নিজাম উদ্দিন।#####

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ