Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিড়ি ও সিগারেট বন্ধে একই সময় নির্ধারণের দাবিতে ১৬ মন্ত্রী-এমপিকে স্মারকলিপি

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী চিঠির প্রতিবাদে স্পিকার, প্রতিমন্ত্রী ও সরকারি দলের এমপিদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিড়ি শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিড়ি ও সিগারেট বন্ধে একই সময় নির্ধারণ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানানো হয়। বিড়ি শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আবেদনে বলা হয়, যশোর অঞ্চলে সংগঠনের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, স্বপন ভট্টাচার্য এমপি, রনজিৎ রায় এমপি এবং মনিরুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কুষ্টিয়া অঞ্চলের শ্রমিক-কর্মচারীরা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, দৌলতপুর এলাকার এমপি রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি দেন। রংপুর অঞ্চলের শ্রমিক-কর্মচারীরা স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সরকারি দলের এমপি টিপু মুনশি, এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, আহসান হাবিব ডিউক চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলালের এপিএস সংসদ সদস্যের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। বাগেরহাট-৩ আসনের এমপি আব্দুল খালেক তালুকদারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ওই অঞ্চলের বিড়ি-শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এ ছাড়াও স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মোতাহার হোসেন এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুককে।
উল্লেখ, চলতি মাসের শুরুতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের বিড়ি-সিগারেট বন্ধের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে চিঠি লিখেন। চিঠিতে বলা হয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প তুলে দেয়া হবে। অন্যদিকে সিগারেট বন্ধে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। শ্রমিকরা দাবি করেছেন, অর্থমন্ত্রীর এই একতরফা সিদ্ধান্তে সিগারেট শিল্প লাভবান হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিক। এটা অর্থমন্ত্রী পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত ও ক‚টকৌশল। স্মারকলিপিতে বহুজাতিক কোম্পানিকে সুবিধা দেয়াসহ সিগারেট বন্ধে ২৩ বছর সময় নির্ধারণ করার প্রতিবাদ জানান বিড়ি শ্রমিক-ঐক্য কর্মচারী পরিষদ। বিড়ি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান তৈরি এবং বিড়ি-সিগারেট বন্ধে একই সময় নির্ধারণের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে বিড়ির ওপর শুল্ক ১৮ গুণ বেশি। ভারতে এক হাজার বিড়িতে শুল্কমাত্র ১৪ টাকা। বাংলাদেশে এক হাজার বিড়িতে শুল্ক ২৫২ টাকা। ভারতের যেসব কারখানায় ২০ লাখ স্টিকের নিচে বিড়ি তৈরি হয়, তাদের কোনো শুল্ক দিতে হয় না। বাংলাদেশে যে কোনো পরিমাণ বিড়ি তৈরির জন্য শুল্ক দিতে হয়। ভারতে বিড়িকে কুটিরশিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর বাংলাদেশে দফায় দফায় অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে বিড়িশিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ