পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের কলাভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য ও মধুর ক্যান্টিনের সামনে অবস্থিত মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্যগুলোর চোখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে এসব স্থাপনায় কালো কাপড় দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন কালো কাপড়ে ভাস্কর্যের চোখ বাঁধলো কারা?
কারা কী উদ্দেশে কালো কাপড়ে ভাস্কর্যগুলোর চোখ ঢেকে দিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রনেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে। ভাস্কর্যগুলোর আশপাশে যারা ছিলেন কথা হয় তাদের সঙ্গে। জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা সকালে এসে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এলে হঠাৎ চোখে পড়ে ভাস্কর্যের চোখ ঢাকা কালো কাপড়ে। কিন্তু কেন ভাস্কর্যের চোখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
ছাত্রদের ধারণা গভীর রাতে বা ভোরে কেউ এ কাজ করেছে। ছাত্রদের মন্তব্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এর প্রতিবাদেও কেউ এটা করতে পারে। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বন্ধ করে দেয়ার অর্থ হলো, প্রশাসনের চোখের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করা হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন তা চোখে দেখছে না। দেখলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। হয়তো কেউ এজন্য কালো কাপড় দিয়ে সব ভাস্কর্যের চোখ ঢেকে দিয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাস বলেছেন, এ ধরনের কাজ করা হয় মূলত কোনও কিছুর প্রতিবাদে। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট নয়, সে কারণে হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রনেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসকে যারা অস্থিতিশীল করেছে, তাদের কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকতে পারে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনও শিক্ষার্থী জড়িত নয় বলে দাবি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহŸায়ক হাসান আল মামুনের। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের কাজ আগেও অনেকবার দেখেছি। কিন্তু এটা কে করেছে তা আমরা বলতে পারবো না। এসব কাজের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।