পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পেপার কোন ও পেপার টিউব উৎপাদনে ব্যবহৃত কাগজের বর্ধিত মূল্য কমানোসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেপার কোন অ্যান্ড পেপার টিউব ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিপিসিটিএমএ)। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার মো. সালাহউদ্দিন এসব দাবি জানায়। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ গার্মেন্টস খাতকে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী পেপার কোন ও পেপার টিউব উৎপাদন শিল্পের ব্যবহৃত কাঁচামাল কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা চরম লোকসান গুণছে। গত কয়েক সপ্তাহে কাগজের মূল্য ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত টন প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কাগজ স্থানীয় মিলে তৈরি হয়। সাধারণত কুড়ানো কাগজ ও ওয়েষ্ট পেপার থেকে এ বোর্ড উৎপাদন হয়। গত ১৫ দিনের মধ্যে ওয়েষ্ট্রেজ পেপার, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পরিবহন খরচ, ভ্যাট-ট্যাক্স কোন কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পায় নাই। বোর্ড মিল মালিকরা অযৌক্তিকভাবে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করেছেন। তারা অতিমুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে এ দাম বৃদ্ধি করেছে। পেপার কোন অ্যান্ড পেপার টিউব শিল্পকে ধ্বংস করে দেয়াই তাদের উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করা হয় এ্যাশোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। উত্থাপিত ১৩ দফা দাবির মধ্যে কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, সরকারের একটি বিশেষ তহবিল গঠনের মাধ্যমে এ শিল্পকে বিশেষ সহায়তা দেয়া, ৫০০ একর জমি বরাদ্দের মাধ্যমে গাজীপুর জেলায় একটি বিশেষায়িত শিল্প অঞ্চল গড়ার ব্যবস্থা নেয়া, সরকার বন্ড ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পণ্য তৈরিতে সহায়তা দিয়ে এবং বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার দাবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।