পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে কেসিসি’র নির্বাচনী প্রচারণা। তবে ইতোমধ্যেই প্রধান দুই দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নির্বাচনী প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন আর বিএনপি’র প্রার্থী নগরবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর অঙ্গীকার করছেন। আওয়ামী লীগের যেমন দলীয় কোন্দল রয়েছে ছাইচাপা আগুনের মত তেমনি বিএনপিতেও রয়েছে অন্তদ্ব›েদ্বর তুষের আগুন। নির্বাচনের আগে উভয় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল উভয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সূত্রমতে, খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ীমীলীগে রয়েছে সাইলেন্ট কোন্দল। আগামী খুলনা ২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রার্থীতা নিয়েও রয়েছে তীব্র গ্রæপিং। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বর্তমান এমপি মিজানুর রহমান মিজানের প্যারালাল হিসেবে অন্যান্য ঘাটিতে পাইপ লাইনে আছেন। আবার খুলনা সদর আসনে এমপি মিজান আটঘাট বেঁধে নির্বাচনী কলাকৌশল ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনার জনসভায় সদ্য যোগদানকারী সাবেক ফুটবলার ও শিল্পপতি সালাম মুর্শেদীর ভাষণ ও আশ্বাস, এ আসনের মনোনয়নের বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা সমীকরণ চলছে। এসব হিসাব নিকাশের সাথে মেয়র প্রার্থীর বিজয় সরাসরি জড়িত। দলের মধ্যে দীর্ঘ দুই দশকে তালুকদার আব্দুল খালেকের একচ্ছত্র উত্থানেও ঈর্ষা রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহলের। সেসব বিষয়ে নিরব মেরুকরণ চলছে।
অপরদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হয় নগর কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। যা রাজনৈতিক অঙ্গনে ওপেন সিক্রেট। এক্ষেত্রে খুলনার সাবেক এমপি হাওয়া ভবনের কর্ণধর আলী আজগর লবীর হাত রয়েছে বলে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ঝড় উঠেছে।
এদিকে দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশেই খুলনা সিটিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এক্ষেত্রে খুলনায় বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়ন না পাওয়ার পেছনে দলটির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর লবির ভূমিকা ছিল। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নতুন আর পুরনো তো কোনও প্রশ্ন নয়। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে দল যাকে যোগ্য মনে করেছে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডন থেকে ফোন করে খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের মহাসচিবসহ নীতি নির্ধাকদের নির্দেশ দেন। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খুলনা-২ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর লবি। তিনি তারেক রহমানের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। এ আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। নিজের রাস্তা পরিষ্কার করতে আলী আজগর লবি তারেক রহমানকে দিয়ে মঞ্জুকে খুলনায় মেয়র পদে প্রার্থী করিয়েছেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’ আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, তালুকদার আব্দুল খালেককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তারা বলছেন, তালুকদার আব্দুল খালেক স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়। কিন্তু বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি সরকারের বিভিন্ন ‘অসহযোগিতার’ কারণে গত নির্বাচনের ইশতেহারের অনেক কাজই করতে পারেননি। যা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বড় অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগবে। এছাড়া মনির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া খুলনা বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগরের সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে যোগ্য মনে করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কারণ, কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগরের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষের কাছেও জনপ্রিয় তিনি।
১৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের প্রথম দিনে ১৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গত রোববার রাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার ইউনুচ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আয়কর সনদ না থাকা, ঋণ খেলাপী হওয়া এবং স্বাক্ষরজনিত সমস্যার কারণে সাধারণ ওয়ার্ডের ছয়জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- সাধারণ ১নং ওয়ার্ডে শাহাজান সিরাজ (নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষর নেই), আবুল কালাম (ঋণ খেলাপী); ২নং ওয়ার্ডে রাজা খান (অসম্পূর্ণ তথ্য); ৪নং ওয়ার্ডে আবু আসালাত মোড়ল (প্রার্থীর স্বাক্ষর নেই); ৫নং ওয়ার্ডে মো. মুকুল শেখ (আয়কর সনদে সমস্যা), এস এম হুমায়ুন কবির (ঋণ খেলাপী)। সংরক্ষিত ৬নং ওয়ার্ডে শামীমা পারভীন (ঘ ফরম জমা দেননি); ৭নং ওয়ার্ডে মনোয়ারা সুলতানা কাকলী (আয়কর সনদে সমস্যা); ৮নং ওয়ার্ডে রমা রানী চক্রবর্তী (প্রস্তাবক অন্য ওয়ার্ডের); ইসমত আরা বেগম (আয়কর সনদে সমস্যা); ৯নং ওয়ার্ডে রিনা রহমান (ঘ ফরম জমা দেননি); লিভানা পারভীন (স্বাক্ষর নেই); শাহানুর বেগম (আয়কর সনদে সমস্যা); ১০নং ওয়ার্ডে মোসাম্মাৎ হোসনে আরা (আয়কর সনদে সমস্যা), বিলকিস আরা বুলি (আয়কর সনদে সমস্যা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।