Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিসির বাসায় হামলাকারীরা পেশাদার -ডিএমপি কমিশনার

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসায় হামলাকারীরা পেশাদার। অপরাধীরা যেই হোক তাদের চিহ্নিত করে দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, উপাচার্যের বাসায় যেভাবে ভাংচুর করা হয়েছে। যে কায়দায় ভাংচুর করা হয়েছে, যে মাত্রায় ভাংচুর করা হয়েছে...সিসিটিভি ক্যামেরা শুধু খুলে নেয়া হয়নি, এটির হার্ডডিস্কটা যে কায়দায় খুলে নেয়া হয়েছে, সেটি কোনো পেশাদার লোকের কাজ বলে আমাদের কাছে মনে হয়। মামলার তদন্তকাজ চলছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মামলা হয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে। আমাদের প্রশিক্ষিত, মেধাবী কর্মকর্তারা এ মামলাগুলোর তদন্ত করছেন। এই তদন্তের সহায়তার জন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে, খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। এটি হচ্ছে আমাদের দৃঢ়প্রত্যয়। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে ৮ এপ্রিল রোববার রাতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় বাসভবনের প্রধান গেট ভেঙ্গে ফেলা হয়। হামলাকারীরা বাসভবনের দেয়ালের তারকাঁটা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তারা বাসভবনের ভেতরে থাকা দুটি গাড়িতে ভাংচুর ও দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাংচুরের এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় পুলিশ তিনটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি মামলা করেছে।
গোটা রাজধানী কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে
পহেলা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এদিন গোটা রাজধানী কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বৈশাখের সব অনুষ্ঠানস্থল ধুমপানমুক্ত রাখতে নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করবে। এর জন্য অনুষ্ঠানস্থলে ডিএমপির মোবাইল কোর্ট থাবে। কেউ অনুষ্ঠানস্থলে ধুমপান করলে সেখানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া নিরাপত্তা থাকবে। পুলিশের পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ডগস্কয়াড এবং বোমা ডিসপোজাল টিম থাকবে। পুরো ভেন্যু সিসি টিভি দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। রমনার বটমূলে সকালে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে মানুষকে প্রবেশ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও পুলিশ প্রহরা থাকবে। মাঝপথে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ মুখোশ পড়তে পারবে না। আর যারা মুখোশ ব্যবহার করবেন তাদের একটি তালিকা দেবে চারুকলা ইনিস্টিটিউট থেকে। এছাড়া কেউ কোনো বাণিজ্যিক ব্যানার দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি জানান, রমনা পার্কে তিনটি প্রবেশ এবং তিনটি বাইরের গেট থাকবে। সকালে মানুষের চাপ থাকলে প্রবেশ গেটেও বাহির গেট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বিকাল পাঁচটার মধ্যে উন্মক্তস্থানে কর্মসূচি শেষ করতে হবে। সম্মিলিত সাস্কৃতিক জোট সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে তাদের অনুষ্ঠান শেষ করবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে দা, কাচি, ছুরি, দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না। কেউ যদি ব্যগ নিয়ে আসেন ধাতববস্তুু বহন করা যাবে না। প্রতিটি অনুষ্ঠান থাকবে ধুমপান মুক্ত। ইভটিজিং প্রতিরোধে থাকবে ভ্রাম্যমান আদালত। প্রতিটি অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ থাকবে। পুলিশ শুধু নিরাপত্তাই দেবে না আগত লোকজনের জন্য পানির ব্যবস্থাও করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আটটি স্থানে সুপেয় পানি বিতরণ করা হবে। এছাড়া প্রবেশ ফটকে বৈশাখে আসা সাধারণ মানুষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বাতাসা বিতরণ করবে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম, কৃষ্ণপদ রায়, মীর রেজাউল আলম, যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, আবদুল বাতেন, রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মো. মারুফ হোসেন সরদারসহ ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ