Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রকল্প নিয়েছে সরকার

সংসদে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিক সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা আরো সুদৃঢ় করতে স্বল্প সময় ও খরচে, অপচয়বিহীন এবং নিরাপদে জ্বালানী তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহণের জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি আরো জানান, জাহাজ হতে সরাসরি পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানী তেল খালাস ও চট্টগ্রামে পরিবহণের জন্য কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকায় ’ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পরিবহণের জন্য পাইপলাইন ফর ট্রান্সপোর্টেশন অব হোয়াইট পেট্টোলিয়াম অয়েল ফ্রম চিটাগাং প্রকল্প এবং হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর সংলগ্ন কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপোতে উড়োজাহাজের জ্বালানী তেল পরিবহণ ও মজুদের নিমিত্তে ’ জেট-এ-১ পাইপলাইন ফ্রম কাঞ্চন ব্রীজ, পিতলগঞ্জ টু কেএডি ডিপো, ঢাকা ইনক্লুডিং স্টোরেজ ট্যাংক’ প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৯ হাজার ৬শ’ থেকে ১০ হাজার একশ’ মেগাওয়াট। তবে বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানীর কাছ থেকে প্রাপ্ত চাহিদার তথ্য অনুযায়ী আসন্ন গ্রীস্মকালীন সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে সাড়ে ১১ হাজার থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, দেশে বিদ্যুতের মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ১৬ হাজার ৪৬ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় কোন বিদ্যুত ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তবে গ্রীষ্মকালীন সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটে। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশে জ্বালানি চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সদ্য আবিস্কৃত ভোলা গ্যাস ক্ষেত্রসহ দেশে বর্তমানে আবিস্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭টি, যার মধ্যে ২০টি বর্তমানে উৎপাদনে আছে। বর্তমানে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের দৈনিক গড় চাহিদা প্রায় ৩৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট- যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো জানান, দেশের সমুদ্রাঞ্চলকে মোট ২৬টি বøকে (অগভীর ১৫টি ও গভীর ১১টি) ভাগ করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে ৪টি বøকে ৩টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া দেশে আবিস্কৃত বিপুল পরিমাণ উন্নতমানের কয়লা দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ