পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইবি সংবাদদাতা : কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ২২জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গত বুধবার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনের নির্দেশে তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার হল থেকে একযোগে বের হয়ে যায় বলে দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি শাহিনের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিল আহমেদ সজল ও আবুল খায়ের মোল্লা বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীদের নিজ কক্ষে ডেকে পাঠান। পরে তাদের নানাভাবে গালাগাল ও হুমকি-ধামকি দিয়ে গতকাল সকাল ১০টার মধ্যে হল ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দেয়। ফলে সকালে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা হলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন, আসানুর রহমান, গোলাম রাব্বি, মেহেদী হাসান, রবিউল, আশিকুর রহমান, রাব্বুল, আশিক, রাসেল মুরাদ, আশিকুল ইসলাম। একই বর্ষের লোক-প্রশাসন বিভাগের আশরাফুল ইসলাম, শিমুল ইসলাম, নাইমুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, শাকিল আহমেদ, মেহদী হাসান, ফয়সাল আহমেদ, লিমন, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একই বর্ষের আব্দুর রশিদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নাহিদ হাসান, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ও নিশাতসহ ২২জন কর্মী।
জানা যায়, বুধবার সারা দেশের ন্যায় ইবিতেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করার জন্য দলীয় কর্মীদের অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগ কর্মী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হল ছাড়তে বাধ্য করা হয় সভাপতি গ্রæপের ২২ কর্মীকে। এর আগে সন্ধ্যায় সভাপতি শাহিন হলে এসে আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘সিটের জন্য রাজনীতি করিনা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। চেতনা থেকে রাজনীতি করি। আমি সেই চেতনা থেকেই কোটা সংস্কারের আন্দোলনে গিয়েছিলাম। এই অপরাধে আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেয়া হলো। তবুও আমার আক্ষেপ নাই। নেতার কথা শুনে আমি হল ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’
নাম প্রকাশ করার শর্তে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি একজন ছাত্র হিসেবে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিতেই পারি। কাল সন্ধ্যায়ও তো আনন্দ মিছিল করলাম। কিন্তু আমাকে কেন নামিয়ে দেয়া হবে।’
ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলেন, ‘শাহিন নেতা হওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যে নানা সমস্যা লেগেই রয়েছে। আর আজ নিজ কর্মীদের হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার যে সিন্ধান্ত তা আমি মনে করি রাজনৈতিক অপরিপক্কতার ফল।’
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের সাথে যোগাযোগের করলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতামই না। পরে শুনেছি। তারা নিজেদের ভিতর ঝামেলা করে হল ছেড়েছিল। তাদের ৪জন লিখিত দিয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’
ঘটনা জানিয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের বলেন, ‘এতগুলো ছাত্র এখন হঠাৎ করে কোথায় যাবে, এটি খুব জঘন্য একটি কাজ, এটি মেনে নেয়া যায়না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিন্ধান্ত নেব এদের বিরুদ্ধে কি করা যায়।’
ইবি ভিসি অধ্যাপক রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি তবে কেউ অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।