পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল, পরিষ্কার কথা। বারবার আন্দোলনের নামে জনগণের ভোগান্তি এড়াতে সংস্কারের চেয়ে এটা বাতিল হলেই ভালো। বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে বলল- আমরা তিন দিন ঘুমাতে পারছি না। লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনকি রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়ায় রোগীরা হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারছে না।’
তিনি বলেন, জেলায় জেলায় যে কোটা রয়েছে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে গেছে। আমি বলে দিয়েছি- কোনো কোটাই থাকবে না। বিসিএসএসে যেভাবে পরীক্ষা হয়, মেধার ভিত্তিতেই সব নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েরাও রাস্তায় নেমে গেছে, কোটা চায় না। তাহলে কোটা পদ্ধতি থাকার কী দরকার? প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করব। আন্দোলন অনেক হয়েছে, এবার ক্লাসে ফিরে গিয়ে পড়াশোনা করলেই হয়।
তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই। থাকলে কয়েকদিন পর দেখবেন আবার সংস্কার চায়। সেটা হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাবে। তবে এর চেয়ে ভালো বাতিল হলেই।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখ লাগে- কোটা চাই না, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ক্লাস বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে আছে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রোগীরা পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা দাবি করেছে। আমরা তো বসে নেই। আমরা সোমবার কেবিনেট বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করেছি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে বিষয়টি দেখতে বলা হলো। কেবিনেট সেক্রেটারিকে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার জন্য আমি বলেছি, তিনি বিষয়টি ব্রিফিংয়ে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েরা যেভাবে গভীর রাতে হল থেকে বের হয়ে আসল। আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি। (জাহাঙ্গীর কবির) নানককে সেখানে পাঠিয়েছি। তাদেরকে বলা হলো এটা করো না। কিন্তু সারাদেশে তারা বের হয়ে পড়ল।’
এছাড়া কোটা আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হামলাকারীরা জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার দাবিতে রোববার দুপুরে পূর্বঘোষিত গণপদযাত্রা শেষে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এছাড়া শতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
সোমবার বিকালে সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে চাকরিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষায়’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে আন্দোলন ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসা কমিটি। কিন্তু ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সরকারের অস্পষ্ট আশ্বাসে’ আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।