পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : আফগানিস্তানে শতাধিক হাফেজ হত্যার বর্বরতম ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৩ এপ্রিল (শুক্রবার) ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির জামিয়া দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী উক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা উক্ত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সফল করার জন্য সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানান।
হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, আফগানিস্তানের কুন্দুস প্রদেশের দাস্তেআর্চি জেলার পাঠান বাজার এলাকায় মাদরাসায়ে উমরিয়্যাহ-এর হাফেজ ছাত্রদের সনদ প্রদান ও দস্তারবন্দি অনুষ্ঠান চলাকালে গত ৪ এপ্রিল ন্যাটো বাহিনীর সন্ত্রাসী বিমান হামলায় শতাধিক আফগান নিরীহ শিশু-কিশোর হাফেজে কোরআন শাহাদাত বরণ করেছেন। তারা বলেন, আমেরিকা ও তাদের দোসররা আফগানিস্তান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আরকানসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম নারী শিশু ও নিরাপরাধ মুসলমানদের ওপর নির্মম হত্যাকাÐ চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। জালিমরা এত নিষ্ঠুর, আফগানিস্তানের নিষ্পাপ শিশু হাফেজদের হত্যাকাÐ চালাতেও তাদের বিবেকে বাধেনি। জাতিসংঘের মানবাধিকার আইনে শিশু হত্যা চরম অপরাধ। অথচ মানবতার কথা বলে নির্লজ্জভাবে এরা মানবাধিকার হরণ করছে।
হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, মানবাধিকারের কথা বলে ইহুদী খ্রিস্টান সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। এরা মানবতার চরম দুশমন। দীর্ঘদিন আফগান মাটিতে মুসলমানদের রক্তের বন্যা বইছে। আফগান মুসলমানদের হাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়েছে, মার্কিন বাহিনীরও পতন হবে ইনশাআল্লাহ। তারা মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।