বগুড়া অফিস : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউপির জুরানপুর গ্রামের যে বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে দু’জন নিহত হয়েছে ওই বাড়িটিতে এখন ঢাকা থেকে আসা পুলিশের ‘বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ’ সদস্যরা প্রবেশ করেছে। পুলিশের ( ঢাকা ডিবি) সিনিয়র এএসপি রহমতুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এই ইউনিটটি সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে ঢুঁকে আলামত পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্য উপাত্তে পুলিশের ধারণা বোমা বিস্ফোরণে নিহতরা জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য আর বাড়িটিকে জেএমবির ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। রোববার রাতে বোমা বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
উল্লেখ্য রোববার রাত ৮টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের জুরানপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে দেখতে পায় বাড়ির ভিতরে ২জন লোক যন্ত্রণায় ছটফট করছে । হতবিহবল লোকজন এরপর তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে পাঠালে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। এই রিপোর্ট লেখার সময় তক নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তবে ঢাকায় বসবাসকারী এই বাড়িটির মালিক মাহবুবুর রহমান ফোনে পুলিশের জিজ্ঞাসার জবাবে জানিয়েছেন, ৬ মাস আগে মিজানুর রহমান নামের এক সিএনজি চালক নওগাঁ থেকে এসে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল । তবে বোমা বিস্ফোরণের সময় মিজান ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলনা । দু’চার দিন আগেই মিজান সস্ত্রীক বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, এই বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে আসার পর থেকেই মিজান ও তার স্ত্রীর আচরণ ছিল সন্দেহজনক। তাদের বাড়িতেও মাঝে রহস্যময় লোকজনের আনাগোনা ছিল। বগুড়ার পুলিশ সুপার সহ ঊর্ধ্বতন প্রশাসন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।