পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ২১ লাখ ৭৪ হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাগুরার শালিখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভূমি সচিবকে চিঠি দিয়েছেন মাগুরার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়নে অসহযোগিতা করে আসছে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন কর্মকর্তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মো: রিয়াজ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, এই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজগুলো হয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। সেখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের সরকারি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শালিখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাগুরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের গুচ্ছগ্রাম (সিভিআরপি) প্রকল্প সবার জন্য বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প মাগুড়া জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মৌজায় প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যা পরবর্তীতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে পার্শ¦বর্তী মৌজায় কাজটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। উক্ত প্রকল্পের অধিনে মাটির কাজের জন্য কাবিখা কর্মসূচির আওতায় ৩৬ দশমিক ৬৬৯ মে: টন চাল বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৫০২ মে. টন চালের ছাড়করণ করা হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হলেও এখনো ১৪ মে.টন চাল ছাড়করণ করা হয়নি। ইতোমধ্যে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কিছুটা কালক্ষেপণ হলেও নির্মাণসামগ্রী ক্রয়পূর্বক নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য জরুরী ভিত্তিতে মাটির কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজন। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান প্রথম থেকে প্রকল্পের মাটির কাজ সস্পন্ন করার ক্ষেত্রে অসহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করে থাকেন। যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবহিত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বার বার তাগিদ দেয়া সত্তে¡ও প্রকল্পের বাকি চালের বরাদ্দপত্রে ছাড়করণে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছে। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। চিঠিতে বলা হয়, পোড়াগাছি গুচ্ছগ্রামের বরাদ্দ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাপ্ত। কাজের দীর্ঘসূত্রিতা হলে পোড়াগাছি মৌজাতেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার উদ্ভব হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, পোড়াগাছি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণপূর্বক দ্রæত সমাপনী প্রতিবেদন দাখিল করা জন্য জাতীয় প্রকল্প পরিচালকের অফিস হতে একাধিকবার তাগিদ পাওয়ার সত্তে¡ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা কোন পরামর্শ বা নির্দেশনার কর্ণপাত না করে গুচ্ছগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নকে ইচ্ছকৃতভাবে বিলম্বিত করছেন। চিঠিতে আরো বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ২৫টি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অপকৌশলে লিপ্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের ২১ লাখ ৭৪ হাজার ৬১১ টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উল্লেখিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একজন অসৎ, দায়িত্বহীন এবং দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খানের অসহযোগিতা ও দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের কারণে সরকারি অতিগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে এবং পোড়াগাছি গুচ্ছগ্রামের নির্মাণ কাজ সঠিক সময়ে করতে: সমাপনী প্রতিবেদন দাখিল বিলম্বিত হচ্ছে। এই উপজেলায় একজন সৎ ও দক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদায়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন খান ইনকিলাবকে বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ২৫টি প্রকল্পের ২১ লাখ ৭৪ হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। পরবর্তীতে সব টাকা সরকারি কোষগারে জমা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।