পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে হাজিরা চায়-দুদকের আইনজীবী : আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলে- আসামী পক্ষের আইনজীবী
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পরবর্তী যুক্তিতর্ক শুনানি আগামী ২২ এপ্রিল ধার্য করেছেন বিশেষ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। অসুস্থতাজনিত কারণে কারা কতৃর্পক্ষ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় আদালত পিছিয়ে এ দিন ধার্য করেন। ওই দিন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক হয়। সেদিন বিচারক ২৮ ও ২৯ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ রেখে নির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাজির করতে না পারায় মামলার শুনানি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আবদুর রেজাক খান, সানা উল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট হেলেন আক্তার। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। দুদকের আইনজীবী শুনানির শুরুতে মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়াকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির করে আদালতের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সেই সুযোগ রয়েছে। এভাবে ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দুটি মামলা পরিচালনার উদাহরণও আদালতের সামনে তুল ধরেন দুদকের আইনজীবী। তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আবেদনটি তারা করবেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান এ সময় কাজলের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এই আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলে। আদালত কীভাবে চলবে সে জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ প্রয়োজন। দুদকের আইনজীবীর বক্তব্যের সূত্র ধরে রেজাক খান বলেন, এমন সাবমিশন গ্রহণ হতে পারে না। ভিডিও কনফারেন্স এটা সেটা এত বাড়াবাড়ি করার কি আছে! দুদকের আইনজীবী কাজল এ সময় বলেন, উনি গুরুতর অসুস্থ না। আমার কাছে তথ্য আছে, মেডিকেল বোর্ড তাকে ওষুধ দিয়েছে, তিনি বাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তিনি ওষুধ খাচ্ছেন না। এ মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্তই ছিল। রেজাক খান জামিনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এর আগে গত এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আজকের দিন পর্যন্ত জামিন বর্ধিত করেছিলেন আদালত। গত ২৮ মার্চ সর্বশেষ শুনানিতে তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তাঁকে হাজির করা হয়নি বলে জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলায় অপর আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে অব্যাহত যুক্তিতর্কের বাকি অংশ শুনানি হ্ওয়ার কথা ছিলো। তারপর মসিরুল ইসলামের যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হবে। দুই আসামির যুক্তিতর্ক শেষ হলে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা রয়েছে তাঁর আইনজীবীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।