Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে ইসলামী ব্যাংকগুলোর পুনঃঅর্থায়ন তহবিল

মাস্টার সার্কুলার জারি

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত তারল্য বিনিয়োগের জন্য গঠিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিল নিয়ে মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে পরিবেশবান্ধব পন্য ও উদ্যোগে (বিনিয়োগ) এ তহবিল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তাই মাস্টার সার্কুলারে এ তহবিলের নামকরণ করা হয়েছে ‘পরিবেশবান্ধব পন্য ও উদ্যোগে বিনিয়োগের নিমিত্তে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’। এ সংক্রান্ত আগের ৩টি সার্কুলার সমন্বয় করে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে এই মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এতে ব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ে মুনাফার হার ও বিনিয়োগ পরিশোধের সময়কাল, পুনঃঅর্থান গ্রহণের যোগ্যতা, পুনঃঅর্থায়নের আবেদন প্রক্রিয়া ও পুনঃঅর্থায়নের জন্য উপযুক্ত পণ্যের তালিকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, এ স্কিমের আওতায় এ পর্যন্ত ৫১টি পরিবেশবান্ধব পন্য ও উদ্যোগে অর্থায়ন করা হয়েছে। সমযের পরিক্রমায় স্কিম পরিচালনার অভিজ্ঞতা, দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পরিবর্তন ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের প্রতি গ্রাহক চাহিদা বৃদ্ধি বিবেচনায় এবং সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহের বাস্তবায়নকে তরান্বিত করার লক্ষে পূর্বের সার্কূলারসমূহের নির্দেশনাদি পর্যালোচনা, পরিমার্জন ও সময়োচিত নতুন কিছু নির্দেশনা সংযোজন করে একটি সমন্বিত ও বিশদ নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে।
সার্কুলারে এ তহবিল ব্যবহারকারি ব্যাংকের মুনাফার হার নিয়ে বলা হয়েছে, স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রদত্ত পুনঃঅর্থায়নের ওপর সংশ্লিস্ট অংশগ্রহনকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের বিদ্যমান প্রভিশনাল মুনাফার হার অথবা ব্যাংক হার (বর্তমানে ৫ শতাংশ) এর মধ্যে যেটি কম, সে হারে তাদের নিকট হতে মুনাফা আদায়যোগ্য হবে এবং এই হার ভিত্তি হার হিসেবে বিবেচিত হবে। গ্রাহক পর্যায়ে মুনাফার হার নিয়ে বলা হয়েছে, এ তহবিলের গ্রাহক পর্যায়ে মুনাফার হার (সুদ) মার্জিন ঋণ পরিশোধের সময়কাল অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ অংশগ্রহণকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিস্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য ভিত্তি হারের ওপর মার্জিন আরোপ করে গ্রাহক পর্যায়ে মুনাফার হার নির্ধারণ করা যাবে। এক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ সময়কাল ৫ বছরের কম হলে ৩ শতাংশ, ৫ বছর বা এর বেশি কিন্তু ৮ বছরের কম হলে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ, ৮ বছর বা এর বেশি হলে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ মুনাফা নির্ধারণ করা যাবে। তবে ইতোমধ্যে পুনঃঅর্থান সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্য ও উদ্যোগসমূহে পূর্বের মুনাফার হার হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরিশোধের সময়কাল নিয়ে বলা হয়, নীতিমালার সকল শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুনাফাসহ সকল বিনিয়োগ গ্রাহক থেকে মাসিক ও ত্রৈমাসিক কিস্তিতে নির্দিষ্ট পরিশোধ সূচী অনুযায়ী পরিশোধযোগ্য হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ পরিশোধিত না হলে অংশগ্রহণকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী পেনাল্টি ধার্য করতে পারবে। পুনঃঅর্থান গ্রহনের যোগ্যতা নিয়ে বলা হয়, স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র মেয়াদী বিনিয়োগের বিপরীতে পুনঃঅর্থান সুবিধা প্রদানযোগ্য হবে। প্রকল্পের পরামর্শক খরচ, মেরামত সংক্রান্ত ব্যয় এবং চলতি মূলধনবাবদ ব্যয় পুনঃঅর্থান সুবিধার আওতায় বিবেচিত হবে না। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ