পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট ব্যুরো : সিলেট নগরীর মিরাবাজারে ঘরে ঢুকে মা ছেলেকে খুনের ঘটনায় দুই দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো এই হত্যা মামলার কোনো আসামি ধরা পড়েনি। তবে পুলিশ আশাবাদী খুব শিগগির মা রোকেয়া ও ছেলে রবিউল ইসলাম রোকন হত্যার রহস্যজট খুলবে। ঘটনার পর বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু রাইসার দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। একই আশা করছেন মামলার বাদী রোকেয়া বেগমের ভাই জাকির হোসেন। মা-ছেলে হত্যাকাÐের ঘটনায় গত রোববার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও, গত কয়েকদিন আগে রোকেয়ার বাসায় হামলা, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া এবং তাকে মারধরের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এ হামলা ও মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে এর সাথে জড়িত পাপলু, সুমন, শিপন, মারুফ ও রিপনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে একথাও উল্লেখ আছে এ ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে সিলেট কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তদন্ত কার্যক্রম সন্তোষ প্রকাশ করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘আসামি কেউ ধরা পড়েনি। যেভাবে তদন্ত চলছে, এতে হাল ছাড়িনি। আমরা আশাবাদী। তবে এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, কেন এই হত্যাকাÐ ঘটেছে।’ রোকেয়া বেগমের ভাই জানান, প্রতিদিনই ঘটনাস্থলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এসে খোঁজখবর নিচ্ছেন ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোকেয়া বেগমের ৫ বছরের মেয়ে রাইসাসহ তাঁর নিকটাত্মীয় ও বাসার আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) জানান, তদন্তকাজ চলছে। খুব শিগগির এর সুরাহা হবে বলে আমরা আশাবাদি। কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন বলেন, ‘তদন্তে কিছু ক্লু পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।’ মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সব তথ্য গণমাধ্যমে দিচ্ছি না। তবে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে সিলেট নগরীর মিরাবাজার খারপাড়া ১৫/জে নং বাসার নিচতলা থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হেলাল মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) ও ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের (১৬) গলা কাটা লাশ তাদের নিজ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বাসা থেকে নিহত রোকেয়া বেগমের রাইসা নামে ৪ বছরের শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তার গলায়ও দাগ রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, গত শুক্রবার রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে লাশে পচন ধরে ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। নিহত রোকেয়ার মেয়ে বর্তমানে কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আছে। সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে এদিন বিকালে সিলেট নগরীর মানিকপীর (র.) সিটি গোরস্থানে মা-ছেলেকে দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।