পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : বিশ্ব স¤প্রদায়ের চাপে পড়ে অশেষে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখার জন্য এই প্রথমবারের মতো কক্সবাজার আসছেন মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী। এসময় তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। গতকাল রোহিঙ্গা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যাপারেও আশাবাদী বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী এই মাসে ঢাকা সফর করবেন এবং তিনি কক্সবাজার সফর করতে সম্মত হয়েছেন। আমরা পরিকল্পনা করছি তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে যাওয়ার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘জেনোসাইড স্টাডিজ’ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব। ওই সেমিনারে ১০-এর অধিক দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন বলেও জানা গেছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে সাড়ে এগারো লাখ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হলেও ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার জিরো লাইনে প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন, যাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে কিন্তু তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে যখন আমাদের আলোচনা হয় তখন আমরা বলেছিলাম, যেহেতু তারা (রোহিঙ্গারা) মিয়ানমার সীমানার মধ্যে আছে, তাই তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে গড়িমসি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স¤প্রতি দুই দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত যৌথ কমিটি জিরো লাইন পরিদর্শন করেছে এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগের বাড়িঘর পুড়ে যায়নি বলে তাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে। আমরা চেষ্টা করছি একটি মেকানিজম তৈরি করার, যাতে করে তারা (রোহিঙ্গারা) ফেরত যেতে পারে।’
ভাসানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সরকারের কাছে অনেক অপশন আছে এবং ভাসানচর তার একটি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব অপশন বিবেচনা করছি। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় বলছে, কক্সবাজারে যেখানে রোহিঙ্গারা আছে সেই জায়গাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। আবার তারাই বলছে, তাদের (রোহিঙ্গাদের) অন্য জায়গায় সরানো যাবে না। তাহলে একটি অপশনই রয়ে যায় এবং সেটি হচ্ছে কক্সবাজারে যে বাংলাদেশিরা বাস করেন তাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া। এটাই কি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় দেখতে চায়! আমাদের কাছে এখন একটি অপশন আছে এবং সেটি হচ্ছে তাদের (রোহিঙ্গাদের) একসঙ্গে পাশাপাশি থাকতে হবে।’
ভাসানচরের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘যখন জায়গাটি তৈরি হবে তখন আমরা হেলিকপ্টারে করে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে সেখানকার অবস্থা দেখানোর জন্য নিয়ে যাবো।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের ভূমিকা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের নিজস্ব বাধ্যবাধকতা থাকে, অগ্রাধিকার থাকে।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সা¤প্রতিক আচরণে বাংলাদেশ খুশি। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকর স¤প্রতি রাখাইন সফর করে সেখানে বাড়ি নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব এই মাসে ঢাকায় আসছেন এবং তার সঙ্গে এ বিষয়ে আমার খোলামেলা আলোচনা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।