পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ করে রড, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অবকাঠামো নির্মাণ খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সবপক্ষের কথা শোনেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে সভায় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আগামী ৬ থেকে ১০ মার্চের মধ্যে ব্যবসায়ীদের নিয়ে অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সিমেন্ট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা কামালসহ অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, রড-সিমেন্টের দাম বেড়েছে। নির্বাচনের বছরে এ কারণে আমাদের উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকাতেও উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। তবে এটাও তো স্বাভাবিক যারা রড-সিমেন্ট উৎপাদন করে তারাও তো লস করবে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রডের দাম বড়ার সঙ্গে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক, পোর্টে জাহাজ আনলোড না হওয়া, পরিবহনে খরচ বেশি হওয়া এসব বিষয় জড়িত। তাই এসব সমস্যা সমাধানে আগামী ৬ মার্চ থেকে ১০ মার্চের মধ্যে অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরাও থাকবেন বলেও জনান তিনি।
তিনি বলেন, যেখানেই আমি যাই সবার ধারণা রড-সিমেন্টের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। নির্বাচনের বছরে এ কারণে আমাদের উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকাতেও উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। তবে এটাওতো স্বাভাবিক যারা রড-সিমেন্ট উৎপাদন করে তারাওতো লস করবে না।
সরকারি বাণিজ্য সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে, এক মাস আগে ৬০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ছিল ৫৯ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং ৪০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ৫০ থেকে ৫১ হাজার টাকা। এখন ৬০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ৬৯ থেকে ৭২ হাজার টাকা। আর ৪০ গ্রেডের দাম ৫৭ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
তবে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন জানান, আজ (গতকাল) বাংলাদেশের বাজারে রডের দাম প্রতিটন ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
শুধু রডের মূল্য নয় নির্মাণশিল্পের অপরিহার্য পণ্য সিমেন্ট ও ইটের দামও বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে সিমেন্টের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা এবং ইটের বেড়েছে প্রতি হাজারে এক হাজার টাকা। ৩৬০ থেকে ৩৯০ টাকার সিমেন্টের বস্তা এখন ৪৭০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে রড, সিমেন্টের দাম বৃদ্ধির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বাসি)।
সংগঠনটি অভিযোগ করে-কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে রড, সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি করছে। এতে সারা দেশের নির্মাণ কাজ ধীরগতি সম্পন্ন হচ্ছে, এমনকি বন্ধ হয়েও গেছে। অতীতে কয়েকবার সিন্ডিকেট করে রডের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে সরকার ও খাত সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাই আবারও নির্মাণ খাত রক্ষায় সরকারের হস্তক্ষেপ চায় সংগঠনটি। সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন বাসির সভাপতি মুনীর উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেছেন, দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অস্থির অবস্থার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে নির্মাণ শিল্প। নির্মাণ সামগ্রী রড, সিমেন্ট ও পাথরের দাম এবং গৃহ ঋণের সুদ হার বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাটের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি। তিনি বলেন, গৃহ ঋণে ব্যাংক সুদের হার দুই অংকের ঘরে উঠায় ফের সঙ্কটে পড়তে পারে আবাসন খাত। এ খাতকে বাঁচাতে দ্রুত নির্মাণ সামগ্রীর দাম ও ব্যাংক সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।