পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
০ আমি আপনাদের সেবক ০ আমার কাছে দাবির প্রয়োজন নাই, দেশের কোথায় কী প্রয়োজন আমি জানি ০ সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকে দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া ০ ব্যাংকের ৯৮০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে খালেদা জিয়ার ছেলেরা
দেশের উন্নয়নের জন্য স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ঠাকুরগাঁওবাসীর কাছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আমি আপনাদের সোনার বাংলাদেশ উপহার দেবো। তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা মানেই দেশ ধ্বংস হওয়া, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা, দুর্নীতি-লুটপাট করা। সন্ত্রাস করা-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা। আর আওয়ামী লীগ আসা মানে উন্নয়ন, শান্তি, দেশের উন্নতি, কর্মসংস্থান, মানুষের উন্নত জীবন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উৎসবমুখর এ জনসভায় নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নতি হয়, বিএনপি আসলে হয় না। বিএনপির সঙ্গী ওই যুদ্ধাপরাধী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাই তারা এদেশের উন্নতি চায় না, দেশের ভালো করতে চায় না।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৮ এবং ২০১৪ তে সরকারে এসেছি। সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই আজকে উন্নয়নের ছোঁয়া প্রতিটি এলাকায় এলাকায় যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নৌকা মার্কায় আপনাদের কাছে আমি ভোট চাই। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মানুষকে উপহার দেয় লাশ। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষ পায় উন্নতি। দারিদ্র থেকে মুক্তি। বর্তমান সরকার দারিদ্রসীমা ৪১ ভাগ থেকে কমিয়ে ২২ ভাগে নামিয়েছে। বাংলাদেশকে আমরা সম্পূর্ণ দারিদ্রমুক্ত করতে পারবো এ বিশ্বাস আমার আছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলেরা ব্যাংক থেকে ৯৮০ কোটি ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তো লুটপাটেই ব্যস্ত, দুর্নীতিতেই ব্যস্ত। প্রায় ৯৮০ কোটি ২০ লাখ টাকা তার (খালেদা জিয়া) ছেলেরা ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে। একটা টাকাও ফেরত দেয় নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, এতিমদের জন্য টাকা এসেছে, একটি টাকাও এতিমদের দেয় নাই। নিজেরা মেরে খেয়েছে। মামলা দিয়েছে তত্ত¡াবধায়ক সরকার। সেই মামলায় আদালত শাস্তি দিয়েছেন। এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার বিষয়ে কোরআনেও শাস্তির কথা বলা আছে।
‘আমার কাছে দাবি করার প্রয়োজন নাই, পুরো বাংলাদেশ আমি চিনি’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথায় কী প্রয়োজন, কীভাবে বাংলাদেশের কী উন্নয়ন করতে হবে আমি জানি। ক্ষমতাকে আমরা ভোগের জিনিস মনে করি না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করি আমি আপনাদের সেবক। তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল যাতে গড়ে এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। এছাড়া জেলায় আইটি পার্ক, ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর রেল, বিশ্বাবিদ্যালয়, ভুলিতে থানা, সড়ক প্রশস্তকরণসহ প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার করে দেয়ার অঙ্গিকারও দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলো। মানুষ চিকিৎসা পায়, বিনা পয়সায় ওষুধ পায় সেটা তাদের পছন্দ নয়। আমি ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো পুনরায় চালু করি। আজকে নিরাপদ চিকিৎসা সেবাসহ সকল সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বিএনপির মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিজ জেলায় এ জনসভায় তার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ফখরুল ইসলাম দিনরাত কথা বলতে বলতে গলা ফুলে যায়। বারবার গলার চিকিৎসা করতে হয়। মিথ্যা কথা বলার একটা সীমা আছে। সারাদিন মিথ্যা কথা বললে তো আল্লাহও নারাজ হয়। সে ছিল বিমান প্রতিমন্ত্রী। বিমানের কী উন্নয়নটা করেছিল বলেন? বিমানের প্লেন ঝরঝর। চলে না। বিমান নাই। টাকা পয়সা সব লুটপাট। রাডার স্টেশন নষ্ট। সবকিছু ধ্বংস করে রেখে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৮টি আর্ন্তজাতিমানের বিমান আমরা ক্রয় করেছি, ৮ টি আসবে। এই সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছিল, বিএনপির আমলে। বিমানমন্ত্রী আপনাদের এলাকায় আর সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয়। আমরা সরকারে এসে সেই এয়ারপোর্ট চালু করে দিয়েছি। আপনারা বুঝেতে পারেন এরা মানুষকে দিতে জানে না। বিএনপির আমলে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। কেনো হলো। শুধু বিমান ধ্বংস তা না। দেশটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছিল তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাও জেলায় ৩৩ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩৩ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, রমেশ চন্দ্র সেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম ঠাÐু, রোকেয়া সুলতানা, মহিলা লীগের সভানেত্রী সাফিয়া খাতুন, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাদেক কুরাইশী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।