পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১ এপ্রিল) রোববার চাঁদপুর যাচ্ছেন। চাঁদপুর সফরকালে প্রধানমন্ত্রী হাইমচরে সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ স্কাউটস্-এর ৬ষ্ঠ জাতীয় কমডেকার উদ্বোধন করবেন। বিকেল ৩টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে চুড়ান্ত সফরসূচি পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে বরণ করে নিতে এখন সর্বত্র সাজ সাজ রব। মোড়ে মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে। শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন্স থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে বড় বড় বিলবোর্ড আর তোরণে শোভা পাচ্ছে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র। অভিনন্দন জানিয়ে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও তোরণ ও বিলবোর্ড দিয়ে সড়ক সাজিয়ে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর ঘুরে গেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের সাথে সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন।
বর্তমান সরকারের শেষ মুহুর্তে এ সফরে চাঁদপুরে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ২৫টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ২৩টি উদ্বোধন। উদ্বোধনের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে: চাঁদপুর পৌরসভার দুটি পানি শোধনাগার, চাঁদপুর সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাস, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের ৪র্থতলা একাডেমিক ভবন, মতলব ধনাগোদা নদীর উপর মতলব সেতু, ইন্সটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ও মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় পুরানবাজার, ইব্রাহীমপুর, সাখুয়া, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের হাইমচর এলাকার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।
৮ বছর পর চাঁদপুর আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি চাঁদপুর সফর করেন। ঐ সময়ে চাঁদপুর গুনরাজদী বালুর মাঠে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর চাঁদপুর সফরকালে নতুনবাজার-পুরানবাজার সেতু ও চাঁদপুর পৌর অডিটরিয়ামের ভিত্তিফলক স্থাপন এবং জেলা কালেক্টরেট ভবন ও আদালত ভবনের ভিত্তিফলক উন্মুচন করেন। এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে ২৬২ কোটি ব্যায়ে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের উন্নয়ন, প্রায় ৫শ’ কোটি ব্যায়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর ও হাইমচরকে রক্ষা এবং তৃতল বিশিষ্ট চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবন নির্মান করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের কোন দাবি থাকবে না। কারণ ইতোমধ্যে তিনি অনেক দাবি পুরন করেছেন। এরপরও নেত্রীর পক্ষ থেকে চমক থাকতে পারে।
এদিকে চাঁদপুরবাসীর পক্ষ থেকে উন্নয়নের কিছু দাবি ওঠেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: মেঘনা নদীতে ‘চাঁদপুর-শরীয়তপুর সেতু, চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, হাইটেক পার্ক, স্বতন্ত্র ইলিশ গবেষণা ইনষ্টিটিউট, ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা ও চাঁদপুরকে পর্যটন নগরী ঘোষনা’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।