পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশে এক প্রকার যে অধিকারহীনতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলমান রয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আসা এ দেশে হতে দেয়া যায় না। আমাদের বিচারহীনতা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ডেইলি স্টার ভবনে ২০১৭ সালের বাংলাদেশের আদিবাসীদের ওপর মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের আদিবাসীদের ওপর মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে কাপেং নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
এই প্রতিবেদন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কাপেং ফাউন্ডেশন চেয়ারপার্সন এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস-এর সদস্য উষাতন তালুকদার এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বাঞ্ছিতা চাকমা, অক্সফ্যামের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এম বি আক্তার, এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ‘বাংলাদেশের আদিবাসীদের মানবাধিকার রিপোর্ট ২০১৭’-এর অন্যতম সম্পাদক পল্লব চাকমা স্বাগত বক্তব্য দেন এবং প্রতিবেদনের সামগ্রিক রূপ সংক্ষিপ্তাকারে তোলে ধরেন। অনুষ্ঠানে কাপেং ফাউন্ডেশনের সদস্য সোহেল হাজংয়ের সঞ্চালনায় এ ছাড়াও মুক্ত আলোচনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসী ভিকটিমরা অংশগ্রহণ করেন।
সুলতানা কামাল বলেন, দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটতেই থাকবে আর সবাই বলবে আমাদের করার কিছু নেই এটা হতে দেয়া যায় না। আদিবাসী মানুষের সমস্যা শুধু তাদের সমস্যা না এটা দেশের প্রতিটা বিবেক সম্পন্ন মানুষের সমস্যা। এ সমস্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বক্তব্যে বলেছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল এবং প্রত্যেকটা মানুষ যেন তার এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট থাকে, কাজ করে। কেউ নাগরিক সমাজের অধিকারকে খর্ব করতে পারে না কারণ মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করার ও বিচারহীনতা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।