পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719954505](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের পার্লামেন্ট দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অং সাং সু চির দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ উইন মিন্টকে নির্বাচিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সু চি’র এনএলডি পার্টির সদস্য হওয়ায় মিজ সু চির একজন একান্ত অনুগত ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত মিঃ মিন্ট।।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হছে মিজ সু চির আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত হওয়া। ৬৬ বছর বয়সী মিঃ মিন্ট, মিজ সু চির বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন। মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার স¤প্রদায়ের একজন তিনি। ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা গড়তে উদ্যোগী হন। ২০১২ সাল থেকে তিনি নিম্নকক্ষের স্পিকার ছিলেন। গত সপ্তাহে মিঃ মিন্ট ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং তাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট করা হয়। তাকেই যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেয়া হতে পারে আগে থেকেই ধারণা করা হছিল এবং ভাইস প্রেসেডন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় এই ধারণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে। ১৯৮৮ সালে স্বৈরশাসক জেনারেল নে উইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন এবং সামরিক জান্তার হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়ের পর তিনি ইয়াঙ্গুনের একটি আসন লাভ করেন যা ক্ষমতাসীন এনএলডি’র নেতৃত্বে তার অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করে। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদ থকে ইস্তফা দেন ৭১ বছর বয়সী টিন চ। সেসময় রাষ্ট্রপতির ফেইসবুক পাতায় বলা হয়, তিনি বিশ্রাম নিতে চান। পার্লামেন্টে সামনে তখন সাতদিনের মধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্টদের মধ্য থেকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বাধ্য-বাধকতা তৈরি হয়।
প্রেসিডেন্ট পদে তিনি ছাড়া সম্ভাব্য আর যে দুজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাদের একজন সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে, যিনি টিন চ পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মিঃ মিন্ট দুয়েকদিনের মধ্যে শপথ নিতে পারেন।
যদিও দেশটিতে প্রেসিডেন্টের পদটি আলঙ্কারিকমাত্র কেননা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সু চি। কারণ স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে অং সাং সু চি নিজেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিঃ মিন্টের ভূমিকা হবে মূলত কাগজে-কলমে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উচপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে অং সান সু চি’র উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির সংবিধানে এমন একটি ধারা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে বার্মিজ কারো সন্তান যদি অন্য দেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এমন দায়িত্ব নিতে পারবেন না। সুচির সন্তানরা ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার কারণে সংবিধান অনুসারে বার্মার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তিনি। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।