পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে নিরন্তর লড়াই চলছে, সে লড়াইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছেন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম। দুদকের দোষ-ত্রুটি, এমন কি দুর্নীতির কোনো ঘটনাও যদি আপনাদের গোচরে আসে, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধেও সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার করবেন।’
বুধবার (২৮ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে সৃজনশীল প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের (ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার) সাংবাদিকদের মধ্যে ‘দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ব্যক্তির রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশনের নিকট ন্যূনতম গুরুত্ব বহন করে না। কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের সম্পদ বা অর্থ লুণ্ঠনকারীকে শনাক্ত করা এবং আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো। অর্থাৎ অপরাধকে শনাক্ত করতে যেয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে অপরাধী তো আসবেই।’
তিনি বলেন, ‘কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিট বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য পাচ্ছে যে, কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ী, গুটি কয়েক সরকারি কর্মকর্তা এবং কতিপয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় ট্রেড-বেইজড মানিলন্ডারিং হচ্ছে। দেশের অর্থপাচার হচ্ছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যেকোনো মূল্যে কমিশন অর্থপাচার রোধ করতে চেষ্টা করবে। এ প্রসঙ্গে মানিলন্ডারিং আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে দুদককে কিছুটা হলেও দুর্বল করা হয়েছে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাহসের সাথে দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করুন। আপনাদের চাকরি কেউ খেতে পারবে না। চাকরি ইচ্ছা করলেই কেউ খেতে পারে না। কারণ দেশে আইন রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও তরুণ সাংবাদিকদের পাশে থাকবে।’
এবারের দুদক মিডিয়া আ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সাংবাদিকরা হলেন (প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরি) দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবু সালেহ রনি, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নেছারুল হক খোকন ও দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার বিভাস বাড়ৈ এবং ইলেকট্রনিক ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবাদিকরা হলেন- এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার মাহবুব কবির চপল, মাছরাঙা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি মো. বদরুদ্দোজা বাবু এবং এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এ এস এম জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, জুরি বোর্ডের সদস্য মনজুরুল আহসান বুলবুল ও পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।