পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর পল্লবী এলাকায় রিজার্ভ ট্যাংকি পরিষ্কার করতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন এক শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন। যাদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পল্লবীর মুসলিমবাগ এলাকার ১৯ নম্বর রোডের ৪৩/ডি নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। দগ্ধরা হলেন- ভবনের মালিক ইয়াকুব আলী (৭০), তার স্ত্রী হাসিন আরা খানম (৬০), তাদের আত্মীয় ইয়াসমিন আক্তার (৩৫) এবং ইয়াসমিনের তিন বছরের মেয়ে রুহি এবং ওই বাড়ির কেয়ারটেকার হাসান (৩২)।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা চেষ্টা করে চালিয়ে যাচ্ছেন। দগ্ধদের মধ্যে রুহির শরীরের ৯০ শতাংশ, হাসিন খানমের ৯৫ শতাংশ এবং হাসানের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বাড়ির নিচতলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য সকালে ঢাকনা খোলেন হাসান। এসময় সে বাড়ির সদস্যরাও সেখানে ছিলেন। ট্যাংক পরিষ্কার করার আগে গ্যাস জমেছে কি না পরীক্ষা করতে মোমবাতিতে আগুন ধরিয়ে ট্যাংকের ভেতরে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় সেখানে থাকা পাঁচজন দগ্ধ হন।
হাসিন আরা খানমের ভাই মো. মারুফ হোসেন বলেন, বাড়ির নিচের পানির ট্যাংক পরিষ্কারের জন্য হাসান নামের এক শ্রমিককে নিয়ে আসা হয়। ট্যাংকের মুখ খুলে টর্চলাইট জ্বেলে পানি আছে কি না, দেখছিলেন সবাই। ভালো মতো দেখা যাচ্ছিল না বলে মোমবাতি আনা হয়। মোমবাতি জ্বালানোর জন্য আগুন ধরাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। দগ্ধ হন সবাই। বাড়ির লোকজন প্রথমে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।