পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : দলীয় কোন্দলের জেরে চট্টগ্রামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দলীয় প্রতিপক্ষের কর্মীরা। গতকাল (সোমাবার) বিকেলে নগরীর সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঘটে এই খুনের ঘটনা। নির্মম খুনের শিকার মোঃ মহিউদ্দিন নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকার আবু ইব্রাহিমের পুত্র। তিনি ওই এলাকার যুবলীগের কর্মী। ঘটনার জন্য নিহতের স্বজনরা আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ইকবালের অনুসারীদের দায়ী করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বন্দর থানার এসআই মোঃ আমিনুল হক জানান, মেহের আফহাল স্কুলে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলছিল। সভায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মহিউদ্দিন সভায় যোগ দেন। এক পর্যায়ে তার সাথে সেখানে থাকা কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি থেকে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই মোঃ আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, গুরুতর আহত মহিউদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথা, বুক, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মহান স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কোন্দলে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন খুনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল করে যুবলীগের একাংশ। বন্দর থানার ওসি ময়নুল ইসলাম বলেন, খুনের সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। স্থানীয়রা জানায় স্কুলের অনুষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।