Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সেবা রফতানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ

| প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবা রফতানিও বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে সেবা রফতানি আগের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেশি হয়েছে ১৩ শতাংশের মতো। তবে মোট রফতানি আয়ে সেবার অংশ এখনও ১০ শতাংশের বেশি নয়। সাত মাস শেষে এ হার আট শতাংশ।
সেবা রফতানি বলতে বোঝায়, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন যেমন, সমুদ্র-রেল-সড়ক-আকাশ পরিবহন, পর্যটন, ব্যাংক-বীমা, টেলিযোগাযোগ খাতে প্রদান করা সেবা। এ তালিকায় নির্মাণ, কম্পিউটার ও তথ্যসেবা, মেধাস্বত্ব ইত্যাদিও রয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত সাত মাসে সেবা রফতানি থেকে আয় এসেছে ২৩১ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৯৭ কোটি ডলার। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৪ কোটি ডলার। চলতি বছর সেবা রফতানি থেকে ৩৪২ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ সময়ে যা ছিল ৩৪১ কোটি ডলার।
একক মাস হিসেবে গত জানুয়ারিতে সেবা রফতানি থেকে মোট আয় এসেছে ৩৯ কোটি ডলার। এ আয় এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৯ কোটি ডলারের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারির আয়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মোট পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে দুই হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। আগের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে সাত দশমিক চার শতাংশ। সেবা এবং পণ্য মিলে মোট রফতানি আয় বেড়েছে আট দশমিক ১৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ৩৪ কোটি ডলার এসেছে পরিবহন সেবা রফতানি থেকে। এর মধ্যে আকাশপথে পরিবহন থেকে ১৮ কোটি ডলার, সমুদ্র পরিবহন থেকে এসেছে ১৫ কোটি ডলার। সড়ক পরিবহন রফতানি থেকে ১০ লাখ ডলার এসেছে। তবে রেল সেবা থেকে এক টাকাও রফতানি আয় আসেনি।
দ্বিতীয় বৃহত্তম ৩১ কোটি ডলার আয় এসেছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসেবা রফতানি থেকে। পর্যটন সেবা রফতানি থেকে আয় এসেছে ২১ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ আয় ৩৩ শতাংশ বেশি। আর্থিক সেবা থেকে রফতানি আয় এসেছে ১০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ