পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবাসে রয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল মামলা কার্যক্রমও শেষের দিকে। কুমিল্লায় গাড়ী পোড়ানো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এই তিনটি ছাড়াও আরও ৩৩টি মামলা রয়েছে বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ ২১ টি মামলা।
এসব মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলার রায় দেয়া হয়েছে। বাকি মামলাগুলোর মধ্যে ২১ আগস্ট মামলার বিচার কার্য প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা আছে ৮৫টি। এভাবে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে অসংখ্য মামলা। নির্বাচনের বছরে প্রতিদিনই নতুন করে যোগ হচ্ছে আরও মামলা। একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের বহু নেতাই মামলার জালে বন্দি। দলটির চেয়ারপারসন যেদিন দÐপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান সেদিনও বহু নেতাকর্মীর নামে দেয়া হয়েছে নতুন মামলা।
২০০৭ থেকে চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত দলটির প্রায় ১২ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপিকে চাপে রেখে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা এখন পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আদালতের বারান্দায় রেখে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সারাদেশে ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪৪৯ জন নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার ৭৪টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে অন্তত ৭৭৩ জনকে হত্যা এবং কমপক্ষে ৭২ জনকে গুম করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের তথ্য অনুযায়ি, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলটির ৭৭২ জন খুন, ৭২ জন গুম করা হয়েছে বলে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা সাত বিভাগ মিলিয়ে ৪৯ হাজার ৫৪৬টি। আর এসব মামলায় মোট আসামি ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ জন নেতাকর্মী। পাশাপাশি এই সময়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন দুই হাজার ৪২৮ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত খুন হয়েছেন ১জন। মামলার সংখ্যা ৫২৮টি। এগুলোতে আসামি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭০৭ নেতাকর্মীকে। সব মিলিয়ে মনিটরিং সেলের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৭৭৩ জনকে খুন, ৭২ জনকে গুম করা হয়েছে। মামলার সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৪টি। আর মোট আসামির সংখ্যা ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪৪৯ জন। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর রাজধানী ঢাকার চার থানায় (শাহবাগ-রমনা-পল্টন-মতিঝিল) নতুন ৪৮টি মামলা হয়েছে।
বিএনপি দফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের ভেতর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪ হাজার ৩৩০টি। সবমিলিয়ে সবধরনের নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে রাজশাহী বিভাগে ৩ হাজার ২২০টি, রাজশাহী মহানগরে ৫৮৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ হাজার ৩৩৭টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৩৮৮টি, ঢাকা বিভাগে ৬ হাজার ২১৮টি মামলা, ঢাকা মহানগরে ১৪ হাজার ৩০০টি, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৪৩৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ হাজার ১৪৫টি, খুলনা বিভাগে ৫ হাজার ১৩৫টি, খুলনা মহানগরে ৫২৯টি, বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ৩৭৯টি, বরিশাল মহানগরে ১৪৮টি, সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৭৬টি, সিলেট মহানগরে ৩১৮টি মামলা হয়েছে। উল্লিখিত মামলায় আসামিদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা ১৫৮ জন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৮৯ হাজার ৭১৫ জন, রাজশাহী মহানগরে ৮ হাজার ৬৫২ জন, ঢাকা বিভাগে আসামি ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫২ জন, ঢাকা মহানগরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৫ জন, চট্টগ্রাম মহানগরে ৩৮ হাজার ৮৭৪ জন, রংপুর বিভাগে ৮৬ হাজার ৫২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৮ হাজার ৬৭ জন, বরিশাল মহানগরে ৩৫ হাজার ৪৭৮ জন, সিলেট বিভাগে ১১ হাজার ৫১৬ জন, সিলেট মহানগরে ২৪ হাজার ১৪২ জন, খুলনা বিভাগে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৪ জন এবং খুলনা মহানগরে ৬ হাজার ৯৪৯ জন।
বিএনপির মনিটরিং সেলের দায়িত্বে থাকা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন খান বলেন, মামলাগুলোর বাদী সরকারই। মামলা যখন ফৌজদারী কার্যবিধিতে আসে তখন সরকারই বাদী হয়ে যায়। মামলা ও আসামির সংখ্যা কীভাবে সনাক্ত করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমে আমি ২০১২ সাল থেকে এই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমি ৪৭ জেলা, ৩৬৫ উপজেলা, ১৬৯টি ইউনিয়ন সরেজমিনে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা, থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সহযোগিতা করেছেন। এখনো প্রতি সপ্তাহে মামলার এজহার নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্নভাবে পৌঁছানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে হাতিয়ার হিসেবে মিথ্যা মামলাকে বেছে নিয়েছে। এসব মামলার উদ্দেশ্য এখন স্পষ্ট। বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের চেয়ারপারসনকে দÐ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছেন। তবে তিনি ভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে এখন ৭৮ হাজার মামলা। এক মাস আগে পর্যন্ত হিসাব নিয়েছি আমাদের আসামী সংখ্যা ১৮ লক্ষের উপরে। গোটা কারাগারগুলো ভরে গেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড়ে। এমন কোনো নেতাকর্মী নাই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। গত ফেব্রæয়ারি মাসেই সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি মামলার বোঝা নিয়ে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রচারের চেয়ে আদালতের বারান্দায় বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। এটা সরকারের আরেকটি কূটকৌশল।
বিএনপি সূত্র জানায়, মামলার কারণে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। বাধ্য হয়ে তাদের আদালতে সময় দিতে হচ্ছে। পুলিশের ভয়ে এলাকায় থাকতে পারছেন না। নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় গিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসবে মামলা সংক্রান্ত ব্যস্ততা আরো বাড়বে। ফলে তারা নির্বাচনের প্রচারের দিকে খুব বেশি সময় দিতে পারবেন না। অথচ সরকারি দলসহ অন্যান্য দলের নেতারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন। গণসংযোগ চালাচ্ছেন নির্ভয়ে। আগামীতে আরো জোরেশোরে তারা মাঠে নামবেন। এদিক থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, তাদের জন্য ভোটের মাঠ অনুকূল নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বোঝানো হয় তা তাদের জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে না। তারা অভিযোগ করেন, শাসক দলের প্রার্থীদের সুবিধা দিতেই বিএনপির বিরুদ্ধে মামলার কৌশল নেয়া হয়েছে। পুরনো এবং নতুন মামলা দিয়ে প্রায় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে দৌড়ের ওপর রাখা হচ্ছে। এ সুযোগে প্রায় ফাঁকা মাঠে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে শাসক দলের নেতাকর্মীরা।
সিনিয়র নেতাদের কার কত মামলা: বেগম খালেদা জিয়ার ৩৬টি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ২১টি ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৮৫টি মামলা রয়েছে। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, মির্জা ফখরুলের প্রায় অর্ধেক মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে কয়েকটি মামলার বিচারকার্যও শুরু হয়েছে। সব মামলাতেই তিনি জামিনে আছেন। এসব মামলায় সপ্তাহে দুইদিন তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ১১টি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ৯টি, তরিকুল ইসলামের ১৪টি, মির্জা আব্বাসের ৫২টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ৩৭টি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ১৯টি, নজরুল ইসলাম খানের ৭টি, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ৯ টি, সালাহউদ্দিন আহমেদের ১৪টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশ কিছুর বিচার শুরু হয়েছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে ৬টি, মোহাম্মদ শাহজাহানের ৯টি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ২৭, এজেডএম জাহিদ হোসেন ২৮টি, বরকতুল্লাহ বুলুর ৬১টি, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ৭টি, শামসুজ্জামান দুদু ১৭টি, শওকত মাহমুদ ১৩টি, সেলিমা রহমান ২১টি, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ৪টি, মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদের ৬টি মামলা রয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ৯৬ টি, জয়নুল আবদিন ফারুক ৪৭টি, মিজানুর রহমান মিনু ২৪টি, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ১৩টি, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর ২৪টি, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে ৪৯টি, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ৯টি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ১৪১টি, মজিবুর রহমান সারোয়ারের ১৩টি, খায়রুল কবির খোকনের ১৪টি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের ১২৯টি, লায়ন আসলাম চৌধুরীর ৯টি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে ৪৭টি, ফজলুল হক মিলন ৯টি, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ১৩টি, আসাদুল হাবিব দুলুর ১৩টি, বিলকিস জাহান শিরিনের ৯টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশিরভাগেরই চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কেন্দ্রী নেতাদের মধ্যে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বিরুদ্ধে ২৯টি, সালাহউদ্দিন আহমেদের ১৪টি, আজিজুল বারী হেলালের ২৯টি, এবিএম মোশারফ হোসেনের ১৩টি, মীর সরফত আলী সপুর ২০৭টি, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদের ৬টি, শহীদুল ইসলাম বাবুলের নামে ১৪টি, আকন কুদ্দুসুর রহমানের ৬টি, মো: মুনির হোসেনের বিরুদ্ধে ১১টি, তাইফুল ইসলাম টিপুর ৬টি, বেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে ১৬টি, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের নামে ২১৫ ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে ২১২টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বিরুদ্ধে ৩১টি এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের ১০৮ টি মামলা রয়েছে। এসব নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা অনেক মামলায় ইতিমধ্যে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। চলছে বিচারকাজও।
জানতে চাইলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে পরিকল্পিতভাকে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করাসহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সাজা দেয়া হয়েছে। আধিপত্য-অভিলাষী সরকার গাণিতিক হিসাবে বিএনপিকে দমন করার কাজ চালাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার জামিন কিভাবে বাধাগ্রস্ত করা যায় তা নিয়েও সরকার ষড়যন্ত্র করছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে। নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে দেশব্যাপী, নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে দেশজুড়ে। অন্যদিকে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা ছাড়াই সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি খরচে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। যা নির্বাচনে সমতল মাঠ নির্মানে সহায়ক নয়। নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।