Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশকে ভিক্ষকমুক্ত করার জন্য কাজ করছি -প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৮, ৬:০৮ পিএম | আপডেট : ৬:০৯ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশকে ভিক্ষকমুক্ত করার জন্য কাজ করছি। তাদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহহীনদের বাড়ি-ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে দেশ গড়ার কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালে আমরা নির্বাচনে জয়ী হতে না পারায় দেশ আবার পিছিয়ে যায়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকায় বিশ্বের সাথে তাল-মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অভাবী ও দুঃখী মানুষের বন্ধু, তাই তিনি ছোটবেলা থেকে নিজের জামা-কাপড়, বই-খাতা গরীব বন্ধুদের দিয়ে দিতেন। গরীব মানুষকে বাড়ির ধানের গোলা থেকে ধান দিয়ে দিতেন। তিনি এ দেশের মানুষকে ভালবাসতেন।

তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তিনি একটি যুদ্ধবিব্ধস্ত দেশকে পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ৭৫-র ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন আমরা দুই বোন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। ৬ বছর আমাদের শরণার্থী জীবন কাটাতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একমাত্র চাওয়া বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, তিন বেলা পেটভরে খেতে পারবে। আজ আমাদের জন্য একটি সুখবর আছে। জাতির পিতার জন্মদিনে এ সুখবরটা আপনাদের দিচ্ছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আগেই উন্নয়নশীল দেশ ছিল। আমরা তাদের থেকে পিছিয়ে ছিলাম।

শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। তারাই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই আমি চাই, একটিও পথশিশু থাকবে না। তারা পড়াশোনা করবে, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিবে। মন ও শরীর ভাল থাকবে। মানুষের মতো মানুষ হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শিশুদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। আমরা শিশুদের বিনামূল্যে বই ও বৃত্তি দিচ্ছি। শিশুদের মায়েদের ভাতা দিচ্ছি। ৮০ হাজার প্রতিবন্ধীকে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। যাতে তারাও মূলধারা থেকে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

প্রধান অতিথি তার ভাষণ শেষে চিত্রাঙ্কন, ৭ই মার্চের ভাষণ, গল্প বলা, রচনা প্রতিযোগিতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পরে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা দর্শক সারিতে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে বইমেলার উদ্বোধন ও শিশুদের আঁকা আমার ভাবনায় ৭ই মার্চ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

এর আগে শিশু সমাবেশ মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা শিশু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার দুইজন মহিলার হাতে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।

 

 



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩৬ এএম says : 0
    প্রধানমন্রী ব শেখ হাসিনার প্রতিটি কথা কঠিন সত্য কথা। এভাবে দেশের উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশে কোন রাষ্ট্রিয় প্রধান কথা বলতে পারেনি এবং ভবিষতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত জীবনে একজন আদর্শবান ব্যাক্তিত্বের অধিকারি এবং পরীক্ষিত দেশপ্রেমীক হিসাবে চিহ্নিত এটা মানতেই হবে। আজ তারই হাতে দেশের প্রকৃত রূপ যেটা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও আমরা মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলাম সেটা দেখতে পাচ্ছি। ’৭৫ সাল থেকে ২৬টা বছর দেশটাকে বিভিন্ন অজুহাতে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে সাথে সাথে এটাও আমাদের মনে রখতে হবে বড় কিছু পেতে হলে ছোট কিছু হারাতে হয়। অন্যভাবে বলা যায় আমাদেরকে দুরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে তাই না?? আল্লাহ্‌ আমাদের দেশকে যেভাবে ’৭১ সড়াসড়ি সহযোগিতা করেছিলেন সেভাবেই এখনও করুন এই কামনা। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ