পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অবশেষে সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস্যের কাজে হাত দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরইমধ্যে পুর্নবিন্যস্ত নির্বাচনী এলাকার একটি খসড়াও তৈরী করা হয়েছে। খসড়া অনুযায়ী ১৬ জেলার ৩৮টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন হবে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসছে ঢাকা ও কুমিল্লায়। সবক’টিতে ২/৩টি আসন পরিবর্তন হলেও ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫টি ও কুমিল্লায় ৪টি আসনে পরিবর্তন আসবে। প্রস্তাবিত ৩৮টি আসনে উপজেলার অখন্ডতা, প্রশাসনিক এলাকা যোগ ও বিলুপ্ত ছিটমহল যোগ করা হয়েছে।সেক্ষেত্রে একাদশ সংসদে ২৬২ আসনের সীমানা আগের মতই থাকল।
পরিবর্তনযোগ্য আসনগুলো হচ্ছে- নীলফামারী ৩ ও ৪ আসন, রংপুর ১, ৩ ও ৪ আসন, কুড়িগ্রাম ৩ ও ৪ আসন, পাবনা ১ ও ২ আসন, মাগুরা ১ ও ২ আসন, খুলনা ৩ ও ৪ আসন, সাতক্ষীরা ৩ ও ৪ আসন, জামালপুর ৪ ও ৫ আসন ঢাকা ২, ৩, ৭, ১৪ ও ১৯ আসন, নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫ আসন, শরীয়তপুর ২ ও ৩ আসন, মৌলভীবাজার ২ ও ৪ আসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ ও ৬ আসন, কুমিলা ১, ২, ৬ ও ১০ আসন, নোয়াখালী ৪ ও ৫ আসন এবং চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ আসন। গতকাল বুধবার কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, সংসদীয় আসন পরিবর্তনের এই খসড়া তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে কারো কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে আগামী ১ এপ্রিল বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কমিশন দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩০ এপ্রিল সংসদীয় আসনের চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। ইসির নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্যমতে, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করা সীমানাবিন্যাসে সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আনা হয়। ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩৩টিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এতে ঢাকায় ৮টি আসন বাড়ে, আর গ্রামাঞ্চলে আসন কমে। তবে এটিএম শামসুল হুদা কমিশনের পুনর্বিন্যাস করা আসন পুনর্বণ্টনে আরো জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এমন আশঙ্কা থেকে বিদায়ী কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন আসনবিন্যাস থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখে। এটা ছাড়াই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবছরের ১৫ ফেব্রæয়ারি দায়িত্বে আসা কেএম নুরুল হুদার কমিশন সংসদীয় আসনবিন্যাসের আগে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর গত ৯ জুলাই চ‚ড়ান্ত রোডম্যাপ অনুমোদন করার পর সম্প্রতি সীমানাবিন্যাস কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এবং যুগ্ম সচিব (আইন) সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সবাই সীমানাবিন্যাস আইনটি সংশোধনে একমত পোষণ করেন। বৈঠকের পর সীমানাবিন্যাস কমিটির সমন্বয়ক জানান, বহু আগেই সীমানাবিন্যাস আইনটি পরিবর্তন করার কথা ছিল। মান্ধাতার আমলে, অর্থাৎ ৪০ বছর আগে যে ধ্যান-ধারণা থেকে আইনটি প্রণীত হয়েছিল, পট-পরিবর্তনে অনেক বদলেছে। এছাড়া সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারি করে প্রণীত আইনগুলো বাতিলও হয়ে গেছে। তাই ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে আইনটি যুগোপযোগী করে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোডম্যাপে সিইসি বলেছিলেন, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তাদের নতুন আইন করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সীমানা পুননির্ধারণের জন্য পরামর্শকও নিয়োগ দিয়েছিল ইসি। কিন্তু অদ্যাবদি নতুন আইন প্রণীত হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পরদিনই প্রস্তাবিত পুনর্গঠিত এলাকার খসড়া প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন।
২০০১ সালের নির্বাচনের সময় ১৯৯৫ সালের সীমানার গেজেট বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ১৯৮৪, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে ১৩৩ সংসদীয় আসনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। দশম সংসদে ছয়টি নীতিমালা অনুসরণ করে ৫০টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে আসন পুনর্বিন্যাস করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।