Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৮, ১১:৫৫ পিএম

গত ১১ মার্চ- দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত “মহামান্য আমরা আর কত নিচে নামবো”Ñ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনু বিভাগ। এতে বলা হয়েছে,প্রকাশিত খবরে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক (৮-১২ মার্চ ২০১৮) ভারত সফর সম্পর্কে অসত্য, মনগড়া, বিকৃত এবং অসম্পূর্ণ তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হলো।
প্রথমত: মহামান্য রাষ্ট্রপতির এবারের ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর নয়। তিনি বহুপক্ষীয় আন্তর্জাতিক সৌর জোট (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝড়ষধৎ অষষরধহপব)-এর সূচনা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ১০ মার্চ ২০১৮ দিল্লী সফর করেন। এতে ২৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৭টি দেশের সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ক‚টনৈতিক প্রথার অনুসরণে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সফর শুরু হয়েছিল আসাম সফরের মধ্য দিয়ে। সেখানে ক‚টনৈতিক প্রথা অনুযায়ী আসামের গভর্নর এবং মুখ্যমন্ত্রী আসামের গৌহাটি বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পরবর্তীতে তিনি মেঘালয় সফর করেন। সেখানেও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মেঘালয়ের মাননীয় গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। উভয় রাজ্যেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এতে রাজ্যসভার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এসকল অনুষ্ঠানে ক‚টনৈতিক রীতিনীতি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়। গৌহাটি থেকে দিল্লীতে গমনের লক্ষ্যে ভারত সরকার মহামান্য রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে। ১০ মার্চ ২০১৮ সন্ধ্যায় ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আলোচ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল শীর্ষ নেতাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাগত জানান এবং তাঁদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন।
দ্বিতীয়ত: মহামান্য রাষ্ট্রপতি দিল্লী সফরের পূর্বে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ পরিদর্শনের জন্য আসামের গৌহাটি এবং মেঘালয়ের বালাত, শিলং এবং লাবান পরিদর্শন করেন। প্রচলিত ক‚টনৈতিক রীতি অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি সফরকালে যে স্থানে অবস্থান করেন সে স্থানকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় হিসেবে গণ্য করে তদানুযায়ী অফিস সেটআপ করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর কার্যালয়ে অবস্থানকালে আসামের গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আলোচ্য খবরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করেছেন বলে উল্লিখিত বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, আসামের মাননীয় গভর্নর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে যাবার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভারতে বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে পরবর্তী বৈঠক অর্থাৎ আসামের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সম্ভাব্য বিষয়াবলী নিয়ে আলাপ করছিলেন। এ সময়টিকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাক্ষাতকারের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা আদৌ সঠিক নয়। এ ধরনের তথ্য পরিবেশন পাঠকদের বিভ্রান্ত করার একটি অপচেষ্টা মাত্র, যা সাংবাদিকতার নীতিমালা ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। একইভাবে তিনি মেঘালয়ে অবস্থানকালে তাঁর কার্যালয়ে মেঘালয়ের মাননীয় গভর্নর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তৃতীয়ত: মহামান্য রাষ্ট্রপতি এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে দ্বি-পাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর করেন। সফরকালে তিনি ব্যাটারিচালিত গাড়িতে আগ্রার তাজমহল পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাজমহলের সৌন্দর্য এবং এর চারপাশের পরিবেশ রক্ষার্তে গণ্যমান্য ব্যক্তি কর্তৃক তাজমহল পরিদর্শনকালে ডিজেল/পেট্রোল চালিত গাড়ি ব্যবহার নিষিদ্ধ। সুতরাং এখানে সম্মান নিচু হবার কোন বিষয় নেই। বরং এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরিবেশ রক্ষায় অঙ্গীকারের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ