পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ প্রদানে সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেছেন, যাতে তাদের কাছে এই দেশটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অন্যতম পছন্দনীয় কর্মস্থল হিসেবে অব্যাহত থাকে । গতকাল সোমবার দুপুরে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ইস্তানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের দেয়া এক মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করে তিনি এই আহŸান জানান। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা রোববার চারদিনের সরকারি সফরে সিঙ্গাপুরে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুর ক্রমশই একটি অন্যতম পছন্দীয় গন্তব্যস্থল হয়ে উঠছে। আমি আশাকরি সিঙ্গাপুর এই শ্রমিকদের জন্য বরাবরের মতই সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের নিশ্চয়তা অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্বেষায় একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে। সিঙ্গাপুরের পুঁজি, উন্নত প্রযুক্তি এবং তা ব্যবহারের দক্ষতা রয়েছে। আর আমাদের রয়েছে বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তি। যাদের একটি বড় অংশই বয়সে নবীন এবং শিক্ষিত, যেই দক্ষতাকে উভয়ের পারস্পরিক সুবিধার জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে, বলেন তিনি।
ফেব্রæয়ারি, ১৯৭২ সালে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূত্রপাতের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক একই ধরণের মূল্যবোধ, ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর বিদ্যমান। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্মারকগুলো দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের উপস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে দু’টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সিঙ্গাপুর বন্দর পরিদর্শন
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বাণিজ্য বন্দর পোর্ট অব সিঙ্গাপুর পরিদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুপুরে পোর্ট অব সিঙ্গাপুর পরিদর্শন ও এর স্বয়ংক্রিয় কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করেন। তিনি জানান, বন্দরের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেন ও চট্টগ্রাম বন্দরকে স্বয়ংক্রিয় করার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।