পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এম এ মতিন, শ্রীপুর থেকে : চিতাবাঘ বা সিংহ সামনে থাকলে সবাই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সিংহ বা চিতাবাঘের মত হিং¯্র প্রাণীদের সাথে বন্ধুর মত নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের মিন্টু। মাঝেমধ্যে সিংহ সাবক আর চিতাবাঘ তার কাঁধেও লাফিয়ে চড়ে বসে।
শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাঘ ও সিংহের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন নুরুন্নবী মিন্টু। তিনি টগবগে তরুণ। তিনিসহ তার কয়েকজন সহযোগী বাঘ ও সিংহের দেখভালের দায়িত্বে আছেন। এর আগে চট্টগ্রামের ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে মেডিকেল ডিপার্টমেন্টে ড্রেজার পদে চাকরি করতেন তিনি। সেখানে পশুপাখির চিকিৎসক মালেকের সঙ্গে কাজ করতেন মিন্টু। ওই পার্কে থাকতেই বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে তার সখ্যতা হয়। ২০০৭ সালের দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে চারটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের শাবক উদ্ধার করা হয়। এই বাঘ শাবকগুলোকে লালন-পালনের জন্য মিন্টুকে ঢাকার বুটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে ডুলাহাজারায় একটি সিংহ বাচ্চা দেয়। এটির দেখভালের জন্যও মিন্টুকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারিপার্ক প্রতিষ্ঠিত হলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়। ১০টি রয়ে বেঙ্গল টাইগার দেখভালের জন্য শ্রীপুরের সাফারি পার্কে মিন্টুকে আনা হয়।
শেখ মুজিব পার্কের কোর সাফারিতে দেখা যায়, মিন্টু প্রতিদিনের মত প্রাপ্তবয়স্ক বাঘ ও সিংহগুলোকে খাবার দিচ্ছেন। কয়েকমাস আগে আনা দুটি সিংহ ও দুটি চিতা শাবকের দেখাশুনার দায়িত্বও তার। চিতা ও সিংহশাবকগুলোকে ফিডার দিয়ে দুধ খাওয়াচ্ছেন মিন্টু। ফাঁকে ফাঁকে গোশতের টুকরা শাবকগুলোর মুখে তুলে দিচ্ছেন তিনি। সিংহশাবকগুলোও লাফিয়ে তার কাঁধে উঠে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে তার কোলে চড়ে বসছে শাবকেরা। সাফারি পার্কে চারটি বাদামি সিংহ চারটি সাদা সিংহের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে পার্কে জন্ম নেওয়া চারটিসহ সাদা সিংহের সংখ্যা ৮। শাবকসহ বাদামি সিংহ ১৩টি। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ১১টি। চিতা বাঘ আছে দুটি।
হিং¯্র প্রাণীদের বন্ধু নুরুন্নবী মিন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, হিং¯্র হলেই তাদের সাথে মেশা যাবে না তা না, সব প্রাণীই ভালোবাসা পেলে বন্ধু হয়ে যায়, এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই। তাদের সাথে মিশে নির্দিষ্ট নামে ডাক দিলেই তারা কাছে আসে। সিংহ ও বাঘগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিচর্যা করছি। প্রাণীগুলোর সাথে আমার পরিবারের মতো সম্পর্ক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, প্রতিদিন যারা প্রাণীদের দেখাশুনা করেন লালন পালন করেন তাদের সঙ্গে প্রাণীদের একটা সম্পর্ক থাকেই। দীর্ঘদিন ধরে মিন্টুর সঙ্গে বাঘ-সিংহের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছে। এটা আমাকেও উচ্ছাসিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।