Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএস মতাদর্শী নেতাদের মাজার ভাঙ্গার ঘোষণা মুসলিম দেশগুলো ধ্বংস করার পাঁয়তারা -হক্কানী ত্বরিকত ফেডারেশন

| প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ হক্কানী ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজী আহমাদুর রহমান বলেছেন, আইএস মতাদর্শী বাবুনগরী, ফয়জুল্লাহ ও হারুন ইজহার গংরা বাংলাদেশের সকল মাজার ভাঙ্গার হুমকি দিয়ে বাংলাদেশে আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়া, মালির মতো গৃহযুদ্ধ অথবা মুসলমান মুসলমানের মধ্যে মারামারি লাগিয়ে তৃতীয় শক্তি হিসাবে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে মুসলিম গণহত্যা ও দেশ ধ্বংসের পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা হতে যাচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।
ইসরায়েলের মোসাদের শীর্ষ গোয়েন্দা মেন্দি এন সাফাদি ও তার ক‚টনৈতিক সংস্থার নীল নকশার জালে প্রবেশ করে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইএস মতাদর্শি নেতারা মাজার ভাঙ্গার ঘোষণা দিয়ে এ সংস্থার নীল নকশা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়।
আন্তর্জাতিক ক‚টনৈতিক লবি গ্রæপ ইসরায়েলের মেন্দি এন সাফাদি সেন্টারের নীল নকশা অনুযায়ী বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে নিজেদের মধ্যে হানাহানি, মাযার শরীফ ভাঙ্গার সুযোগে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের দ্বন্দ থেকে অথবা মাজার শরীফের পক্ষে বিপক্ষে অথবা শিয়া সুন্নি দ্বন্দ লাগিয়ে মুসলমান মুসলমানে মারামারি অথবা গৃহযুদ্ধ শুরু করে এ পরিস্থিত সৃষ্টি আর এ সুযোগে মুসলিম বিদ্বেষী সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি সেসব দেশে মুসলিম গণহত্যার পর সে দেশের সম্পদ লুটপাট করে নিচ্ছে। ইসরায়েলের মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার নামক আন্তর্জাতিক ক‚টনৈতিক লবিগ্রæপের প্রধান মেন্দি এন সাফাদির নীল নকশা অনুযায়ী দেশে দেশে এসব ধ্বংসের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। শিরিয়া ও আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগত নিধনের মাধ্যমে মেন্দি এন সাফাদির নীল নকশাই বাস্তবায়িত হয়েছে।
এই মেন্দি এন সাফাদি সিরিয়া, লেবাননসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে ইসরায়েলী এজেন্ট রিক্রুট করে এবং হামলার লক্ষ্যস্থলও নির্ধারণ করে দেয়। এবার তারা বাংলাদেশে এজেন্ট রিক্রুট করতে শুরু করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী টার্গেট। এ মেন্দি এন সাফাদি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছে, “বাংলাদেশে হিন্দুদের জাতিগত নিধন চলছে”।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তালেবান ও মাজার শরীফ পন্থীদের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি করে। এই সুযোগে প্রথমে রাশিয়ান সেনা আফগানিস্থানে প্রবেশ করে। রাশিয়ার সেনা হটানোর পর আমেরিকান সেনাদের সেখানে প্রবেশ ঘটে। এভাবে যেখানেই তালেবান ঢুকেছে সেখানেই মেন্দী এন সাফাদির নীল নকশা অনুযায়ী মাজার শরীফ ভাঙ্গা হয়েছে। বাংলাদেশেরও মাজার শরীফ ভাঙ্গার হুমকি দিয়ে ওইরূপ পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। গতকাল এক বিবৃতিতে আহমাদুর রহমান এসব কথা বলেন।
ববৃতিতে তিনি বলেন, সোমালিয়ায় আল শাবাব এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত নামক দুটি সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ লাগিয়ে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করে আমেরিকান সেনা প্রবেশ করার সুযোগ করে দিয়ে সোমালিয়াকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত করে দেয়া হয়েছে। মালিতে গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছিলো বোকো হারাম ও আল আজওয়াদ নামে দুটি সংস্থার দ্বন্দের মাধ্যমে। এ সুযোগে ফ্রান্সের সেনারা প্রবেশ করে মালিকে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে পরিণত করে। একইভাবে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ মুসলমান মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি করে দেশগুলোকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। আইএস মাতদর্শি ও সালাফী এজেন্টরা তাদের এজেন্ট হিসিবে কাজ করছে।। একইভাবে মোসাদ এজেন্টদের গডফাদার ও অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহকারী জর্জ সরোস এবং মেন্দি এন সাফাদির বর্তমান টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশ। একারণেই জর্জ সরোস এই বাংলাদেশে এসে সুলতানা কামাল গং ও পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে বৈঠক করে এদেশে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা তৈরীর পরিবেশ তৈরী করে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশে আইএস সমর্থক নেতাদের মাযার ভাঙ্গার ঘোষণা ধ্বংসপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাবিধস্ত মুসলিম দেশগুলোর ন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টির ধারাবাহিকতা বলে মনে হচ্ছে। তাই দেশবাসীকে দেশ ও ইসলামের স্বার্থে সতর্ক থাকতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ