পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ মশার যন্ত্রণায়। সাধারন মানুষের সাথে এখন মশা যন্ত্রনায় অতিষ্ট মন্ত্রীরা। রাজধানীর মিন্টো রোড এলাকায় সরকারের বড় বড় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আবাসস্থল। অথচ এই মিন্টো রোড ও বেইলি রোডের মতো এলাকায় মশার উপস্থিতি অন্য এলাকার চেয়ে বেশি বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি জরিপে বরা হয়েছে।
মিন্টো রোড এবং বেইলি রোডের জরিপে ৪০ শতাংশ প্রজনন উৎসে লার্ভার উপস্থিতি এবং ৪০ শতাংশ বাড়ি এডিস মশায় আক্রান্ত বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, গাছপালা বেশি থাকায় মিন্টো রোড এবং বেইলি রোডে লার্ভার উপস্থিতি বেশি থাকতে পারে। রমনা পার্কসহ ওই এলাকায় গাছপালা বেশি। এজন্য মশা বেশি থাকতে পারে। আমরা গতবার যখন জরিপ করেছিলাম, তখনও সেখানে মশার উপস্থিতি বেশিই পাওয়া গিয়েছিল। অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, জুন-জুলাইয়ে যে মশা থাকে এখন তার চেয়ে অনেক কম। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় মশা বেশি আছে। শুকনো মৌসুমে এডিস মশার বিস্তার কম থাকে। এজন্য আমরা সতর্কতামূলক বিষয় হিসেবে এটা বলেছি যে এটা সামনে আরও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা দুই সিটি করপোরেশনের ৯৩টি ওয়ার্ডের ১০০টি জায়গায় গত জানুয়ারি মাসে জরিপ চালায়। এরমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১টি জায়গায় জরিপ হয়। জরিপ শেষে ১৯টি এলাকাকে ডেঙ্গগু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তারে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে এডিস মশার বেশি লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে মিন্টো রোড এবং বেইলি রোডে। সরকারের বড় বড় মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আবাসস্থল মিন্টো রোডসহ এলাকাটি মন্ত্রীপাড়া নামেই পরিচিত মন্ত্রী-সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আবাসস্থল মিন্টো রোডসহ এলাকাটি মন্ত্রীপাড়া নামেই পরিচিত। জরিপে বলা হয়. মিন্টো রোড ও বেইলি রোড ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণে শান্তিনগর, ধানমন্ডি-১, এলিফ্যান্ট রোড, গুলবাগ, কলাবাগান, মেরাদিয়ার এলাকায় এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের বনানী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, গাবতলী, মগবাজার, মালিবাগের একাংশ, মিরপুর-১, মহাখালী ডিওএইচএস, নাখালপাড়া, পূর্ব শেওড়াপাড়া, টোলারবাগ ও উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের পাশের খালে জন্মাচ্ছে মশা পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের পাশের খালে জন্মাচ্ছে মশা। জরিপ বলা হয়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৩০ ভাগ, মালিবাগে ৪০ ভাগ, উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে ৩৫ এবং নাখালপাড়ায় ২৫ ভাগ প্রজনন উৎসে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৩০, মালিবাগে ২৫, উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে ৩৫, নাখালপাড়ায় ২৫ ভাগ বাড়ি এডিস মশায় ভরা। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার শান্তিনগরে ২৫, গুলবাগে ২৫, এলিফ্যান্ট রোডে ৩০ শতাংশ প্রজনন উৎসে লার্ভা পাওয়া গেছে। বাড়ি হিসেবে শান্তিনগরে ২৫, গুলবাগে ১৫, এলিফ্যান্ট রোডে ২৫ শতাংশ এডিস মশা আক্রান্ত। মশার এই উপস্থিতি জুন-জুলাইয়ের চেয়ে কম হলেও এই সময়ে তা অস্বাভাবিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।