Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমান্তে মিয়ানমারের বাড়াবাড়ির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন

নাফ নদীর তীরবর্তী এলাকা জুড়ে সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা মোতায়েন

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


কক্সবাজার ব্যুরো : সীমান্তে মিয়ানমারের বাড়াবাড়ির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন। তমব্রæ শূন্য রেখার পর এবার টেকনাফ সীমান্তের ওপারে নাফ নদীর তীরবর্তী এলাকা জুড়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ইউনিফর্মের আড়ালে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের খবর পাওয়া গেছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদেট সূত্রে জানাগেছে, রোববার সন্ধ্যা থেকে রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার এক নম্বর সেক্টর থেকে সীমান্ত জুড়ে অতিরিক্তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গত বৃহস্পতিবার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রæ সীমান্তে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সেনা সমাবেশ ঘটায়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)র আহবানে গত শুক্রবারে পতাকা বৈঠকে মিলিত হহয় দু› পক্ষ। ওই দিন বিকেলে ঘুমধুম সীমান্তের মৈত্রী সেতু এলাকায় বিজিবি এবং বিজিপির মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সীমান্তে উত্তেজনা কিছুটা কমে আসলেও একদিন পর রোববার আবারও তমব্রæ সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার।
তমব্রæ সীমান্তে অতিরিক্তি সেনা ও ভারী অস্ত্রের সমাবেশ ঘটানোর পর এবার টেকনাফের নাফ নদীর তীরে সীমান্তে সেনা মোতায়েন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়ি বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তাদের মতে এই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুূ্দ্েধ বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ অথবা পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বরাত দিয়ে কর্মকর্তারা আরও জানান, সেনাবাহিনী বড় বড় গাড়ি নিয়ে রাত-দিন সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছে। সদ্য অনুপ্রবেশকারী দোস্ত মোহাম্মদ (৪৫) জানান, রোববার সন্ধ্যায় ৪০-৫০ জনের একটি দল বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য মংডুর হাসসুরাতা এলাকায় রওনা দেয়। পথে তারা দেখতে পান সেনাবাহিনীর সারি সারি গাড়ি টহল দিচ্ছে। পরে দলটি এলোমেলো হয়ে যায়। তারমধ্যে ১০ জনের মতো একটি দল বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছায়। এরপর তারা নৌকায় নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। বাকিরা কে কোথায় আছে জানা নেই’। এদিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান জানান, নাফ নদীর ওপারের সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা মোতায়েনের খবর তিনি শুনেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ