পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা। প্রেসক্লাবের ভেতরেও সাংবাদিক ছাড়া বেশ কিছু মানুষ প্রতিদিনের মতো গতকাল (মঙ্গলবার) দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরই মধ্যে দুপুর পৌনে ১২টার সময় মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে হঠাৎ সাদা পোশাকের কিছু মানুষ প্রেসক্লাবের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। তারা এদিক ওদিক কিছু খোঁজাখুজি করার পর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন থেকে আটক করেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। তাকে আটক করার পরপরই ওই এলাকায় থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। কোন কিছু বোঝার আগেই শফিউল বারী বাবুকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাওয়া সাদা পোশাকের লোকদের দিকে কয়েকজন মোটরসাইকেলের হেলমেট ছুড়ে মারে। বাবুকে নিয়ে যাওয়া সাদা পোশাকের ওই লোকজন তখন নিজেদের অস্ত্র বের করে উচিয়ে ধরে। আর এতে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই স্থানে থাকা সাধারণ মানুষ। তখনো কেউ বুঝে ওঠতে পারেনি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নাকি বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাত শুরু হয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ত্র উচিয়ে ধরা সাদা পোশাকের লোকজন চিৎকার করে বলতে থাকে পুলিশ, পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, শুরুতে তাঁরা বুঝতেই পারেননি অস্ত্র হাতে এঁরা কারা। তাঁরা মনে করেছিলেন, অস্ত্রধারীরা নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তবে একপর্যায়ে নিজেদের আমরা পুলিশ পুলিশ বলে চিৎকার করে জানান দিলে তাদের ভুল ভাঙে। পরে তারা ধাওয়া দিয়ে প্রেসক্লাবের ভেতর থাকা কয়েকজনকে বাইরে বের করে দেন। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ অবশ্য শফিউল বারীকে ছাড়েনি। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। ঢাকার মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, শফিউল বারীকে প্রেসক্লাব থেকে আটক করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
এদিকে, বিএনপির মানববন্ধন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে আটকের ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে দলের নেতাকর্মীরা। একইসাথে আজ ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশের সকল জেলা ও মহানগরগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেটে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেট ব্যুরো : আওয়ামী লীগ নেতা গৌছ মিয়া ও আলফু সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সিলেট দক্ষিণ সুরমায়। দাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় ২ জন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ১৭ জন। নিহতরা হলেন বাবুল মিয়া (৩৫) ও মাসুক মিয়া (৫৫)। তারা গৌছ মিয়ার পক্ষের লোক বলে এলাকাবাসি জানায়। বাবুল ও মাসুক মিয়া উভয়ে বরইকান্দির ৩নং রোডের শাহপরান মিল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। গত সোমবার সকালে স্থানীয়ভাবে দু’পক্ষকে নিয়ে আপোস মীমাংসা প্রস্তুতি কালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলির ছোড়া হয় বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানান। আওয়ামী লীগ নেতা গৌছ মিয়া বরইকান্দি ৩নং রোড এলাকা ও কোম্পানিগঞ্জের ৩নং তেলিখাল ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলফু মিয়া ১০নং রোডের কাজি বাড়ির বাসিন্দা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৭ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের ওসমাসনী হাসপাতালসহ স্থানীয় কয়েকটি ক্লিনিকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ৩নং রোডে সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। তখন গুলাগুলি ও দোকানপাঠ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে তখন ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর ও গুলাগুলির হয়। সে সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৩ জন আহত হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দুই প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টহল দেয়ায় সে সময় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সংঘর্ষস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরামা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে ৪ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দেয়নি বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।