পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অধিকতর সহজ, নিরাপদ, স্বচ্ছ, টেকসইসহ অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি, উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ, সঠিক মজুরি নির্ধারণ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বিদেশে কর্মী প্রেরণে কোনো সিন্ডিকেট গ্রহণযোগ্য নয়। এধরণের কোনো সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। দুষ্ট চক্রের হাত থেকে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে জার্নালিস্ট’স ফোরাম অন মাইগ্রেশন (জেএফএম) আয়োজিত ‘বিশ্ব শ্রমবাজার ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মনির হোসেন -এর সভাপতিত্বে সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রম-অভিবাসন বিশ্লেষক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক , সহ-সভাপতি মোরছালীন বাবলা, ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার শামসুল ইসলাম, আরটিভির বার্তা সম্পাদক আক্তার হোসেন, ইনডিপেন্ডেট পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সউদী প্রত্যাগত নারী কর্মী আফিয়া বেগম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র রিপোর্টার মো. সাজ্জাদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মীরা বিদেশে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করছে। বর্তমানে এই প্রোফেশনের সাথে অনেক ভাল ও শিক্ষিত উদ্যোক্তরা যুক্ত হওয়ায় এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, প্রবাসে নারী কর্মীদের সুরক্ষায় তাদের বিদেশে পাঠানোর আগে অধিকতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে প্রেরণ করা উচিত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কুয়েতের শ্রমবাজারের জটিলতা নিরসণে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে মূল প্রতিপাদ্যে শ্রমঅভিবাসন বিশ্লেষক, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত বছর রেকর্ড সংখ্যক সাড়ে দশ লক্ষ কর্মী প্রেরণ করার সফলতা থাকলেও অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। অভিবাসন খাতে বাজেট বৃদ্ধি, রিটার্নি মাইগ্রেন্টদের জন্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাসহ এই খাতের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আরো বেশি নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, জিরো মাইগ্রেশনে নারী কর্মী প্রেরণ আমাদের বড় এক সাফল্য। যার ফলে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা অথবা হতদরিদ্র নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ এক প্রভাব ফেলছে। পরে মন্ত্রী জেএফএম’র ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।