পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামায়াত দেশের শত্রু, তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তি দেশকে আবার অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চক্রান্ত করছে। গতকাল (সোমবার) দুপুরে সচিবালয়ে বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডার অ্যাসোশিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর আলম। বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি দীর্ঘদিনের। তবে বিষয়টি অনেকটা জটিল। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালিয়ে সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়- একটি বড় দলের এমন মন্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের কথা একমাত্র জামায়াত বলতে পারে। যিনি বলেছেন তিনি নিশ্চয়ই জামায়াতের বন্ধু। জাফর ইকবালের ওপর হামলাকে নিন্দনীয় এবং ন্যক্কারজনক বলে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। ঘটনার তদন্ত শেষে খুব দ্রæত ঘটনার বিচার হবে। গত শনিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে অতর্কিতে হামলায় ছুরিকাহত হন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ ঘটনায় ফয়জুর রহমানকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলে। পরে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিলেটে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। জানা গেছে, হামলাকারী ফয়জুরের মামা কৃষক লীগের নেতা। এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তুলেন যে, এই হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত কি না? সচিবালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো জামায়াতের ভাষায় কথা হয়ে গেল। জামায়াত দেশের শত্রæ। তাদের এক্ষুণি দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে জামায়াতের প্রসঙ্গ আসায় একজন সাংবাদিক তখন বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের একটি সিদ্ধান্ত আছে। আইন মন্ত্রণালয় এটির খসড়া করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমাও দিয়েছে। তাহলে সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে বিলম্ব করছে কেন? জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে সমস্যা আছে। সবকিছু দেখেশুনে এগোতে হচ্ছে। সাংবাদিকেদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়ে, ড. জাফর ইকবালের ওপর হওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনা এটা প্রমাণ করে কি না যে, দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। জঙ্গিবাদ দমন হয়েছে। দু-একটি ঘটনা ঘটছে, জঙ্গিরা ধরাও পড়ছে, বিচারও হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে অর্থমন্ত্রী বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডার এবং বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের একীভূত করার বিষয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইকোনমিক ক্যাডার একীভূত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিষয়টির সুরাহা হতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিসিএস ইকোনমিক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। বৈঠকে আ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সংগঠনটির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী একীভূত করার বিষয়টি কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘নয় মাস ধরে এ সংক্রান্ত ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমি দেখব।
তবে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইকোনমিক ক্যাডারের যারা ডেপুটি সেক্রেটারি (ডিএস) পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের জন্য গাড়ি সুবিধা দাবি করা হয়। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা অসম্ভব। গাড়ি সুবিধা পেতে হলে তাকে ডেপুটি সেক্রেটারিই হতে হবে। এ পদমর্যাদার অন্য কর্মকর্তাদের গাড়ি সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই ক্যাডার একীভূত হলে এমনিতেই তারা গাড়ির সুবিধা পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।