Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জুনের মধ্যে সড়কের খানাখন্দ ঠিক হবে

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:২২ পিএম, ৫ মার্চ, ২০১৮

গতবছর অতি বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কগুলোতে এখন মেরামতের কাজ চলছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে সব সড়কের খানাখন্দ ঠিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। সচিব বলেন, রোজার ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কের রক্ষণাবেক্ষণে নেয়া কর্মসূচির ৪০ শতাংশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে কাজটা চোখে পড়ার মতো হবে, জুনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন রোজার ঈদ হতে পারে। ঈদযাত্রার মৌসুমে যাতে সড়কে কোনো ভোগান্তি না হয়, সে জন্য মেরামতের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বলতে চাচ্ছি, আমাদের কর্মযজ্ঞ চলছে। পত্রপত্রিকায় বলা হচ্ছে, রাস্তার এই (বাজে) অবস্থা এই অবস্থার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে, সকলের চোখে এটা পড়বে। রাস্তার খানাখন্দ, জুনের মধ্যে এগুলোর মেরামত দৃশ্যমান হবে। সচিব বলেন, সারাদেশে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) আওতাধীন ৮৭৬টি মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৯৬টি জাতীয়, ১২৬টি আঞ্চলিক এবং ৬৫৪টি জেলা মহাসড়ক। সচিব বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে ২২টি জেলার ৬২টি স্থানে ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক বিলীন হয়ে যায় এবং ৭৫টি স্থানে ৬৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় ২৫১টি স্থানে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্যায় পাঁচ হাজার ১১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নজরুল ইসলাম বলেন, চলতি অর্থ বছরে মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ খাতে এক হাজার ৭০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অনুক‚লে ১৩ হাজার ৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যা ও অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত আরো এক হাজার ১৬৬ কোটি টাকার চাহিদা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার অধিকাংশ কাজ চলমান। মন্ত্রণালয়ের ২৩টি টিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চারলেইনে উন্নীত করার কাজ ৬১ শতাংশ শেষ হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, গত রোববার দুদকের রিপোর্ট আমার হাতে এসেছে। দেখেশুনে ব্যবস্থা নেবো। দুদক সুনির্দিষ্ট করে কোনো ইঞ্জিনিয়ারের নাম বলেনি, কোথায় এমন ঘটনা ঘটেছে তাও বলেনি, তবে তাদের কথার যৌক্তিকতা আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি এবং আগাম বন্যার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ ও মেরামত করা হচ্ছে কি নাÑ এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, তারা নকশায় পরিবর্তন আনছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগের কারণে তাড়াতাড়ি সড়ক নষ্ট হয়ে যায়Ñ এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সচিব দাবি করেন, তিনি গত অক্টোবরে এ দায়িত্বে আসার পর থেকে কোনো রাজনৈতিক তদবির পাননি। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ ধরনের (রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ) কোনো রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। ঠিকাদারের কোনো চরিত্র আমাদের জানা নেই, ঠিকাদার ঠিকাদারই। কে কোন দল করে, কোন দল সমর্থন করে এ বিষয়টা আমরা বিবেচনায় নেই না এবং ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটা বিবেচ্য বিষয়ও নয়। ১০০ কোটি টাকার নিচে সব টেন্ডার এখন অনলাইনে করা হয় জানিয়ে সওজের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অধিকাংশ কাজ দরপত্র ছাড়াই করা হয় বলে যে অভিযোগ করা হয়, তা অসত্য। বড় কাজগুলো ক্রয় কমিটির মাধ্যমে করা হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরাও সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ